‘এমিরেটস প্যালেস’: বিশ্বের ব্যয়বহুল হোটেলে যা আছে
‘আমিরাত প্রাসাদ’, বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল হোটেল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে এই পাঁচতারা হোটেলটি অবস্থিত। ঘর ভাড়ার মূল্যের দিক বিবেচনায় এটিই বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল হোটেল। তবে বিশ্বে আরও কয়েকটি ব্যয়বহুল আবাসিক হোটেল জাপানের টোকিও, রাশিয়ার মস্কো, এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে।
শীর্ষ ব্যয়বহুল হোটেলের নাম
বিশ্বের শীর্ষ ব্যয়বহুল হোটেলটির নাম ‘আমিরাত প্রাসাদ’ বা ‘এমিরেটস প্যালেস’। ২০০৫ সালের মার্চ মাসে এই হোটেলটি উদ্বোধন করা হয়। অত্যাধুনিক সুবিধা ও চমকপ্রদ সেবা মিলবে এই হোটেলে। স্থাপত্যশৈলীর নান্দনিকতা ও উৎকর্ষতায় ‘এমিরেটস প্যালেস’ অনন্য এক স্থাপনা।
ব্যয়বহুল হোটেলের নির্মাণ ব্যয়
বিখ্যাত এই ‘এমিরেটস প্যালেস’ নির্মাণে অন্তত তিন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছিল। জানা গেছে, এই প্রাসাদে প্রায় দুই টন স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন হোটেলটি দেখতে ঝলমলে দ্যুতিময়। হুবহু রাজপ্রাসাদের মতো ভবনটির সামনে রয়েছে খোলা উদ্যান। উদ্যানটি জাকজঁমকপূর্ণ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, সুবিধা ও সেবার পাশাপাশি প্রাসাদটিতে দেয়া হয়ে অতিহ্যবাহী আরবীয় রূপ।
প্রাসাদটির কেন্দ্রে স্বর্ণের স্পায়ার সজ্জিত বিশাল গম্বুজ রয়েছে। পাশাপাশি প্রাসাদে রয়েছে ছোট ছোট আরও কিছু গম্বুজ। প্রধান গম্বুজটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০০ মিটার উচু। বিখ্যাত এই প্রাসাদটি আরব আমিরাতের আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
আমিরাত প্রাসাদের চমকে দেয়া তথ্য
এই প্রাসাদে সত্যিকারের পেশাদারদের একটি দল রয়েছে। যা হোটেলের দর্শনার্থীদের আরাম ও বিশ্রাম নিশ্চিত করতে সব সময় কর্মরত থাকে। আমিরাত প্রাসাদে বিভিন্ন ধরণের ৩৬২টি কক্ষ রয়েছে। এসব কক্ষের মধ্যে চারটি কক্ষ ‘প্রেসিডেন্ট স্যুট’। প্রতিটি ঘরই আরবীয় স্থাপত্য রীতি অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। সাঁজসজ্জাও একই রকম। প্রতিটি ঘরে রয়েছে একটি বারান্দা, প্লাজমা টিভি, মিনিবার, প্রিন্টার সহ ল্যাপটপ এবং ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা।
তথ্যসূত্র: গ্লোবাল ব্র্যান্ড ম্যাগাজিন, দ্য ডেইলি মিল এবং লাক্সারি রিভিউ।