• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

'শেরপা তেনজিং নোরগা: বিশ্বের প্রথম এভারেস্টজয়ীর গল্প

'শেরপা তেনজিং নোরগা: বিশ্বের প্রথম এভারেস্টজয়ীর গল্প

ফিচার ডেস্ক

বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ‘মাউন্ট এভারেস্ট’। নেপাল, ভারত ও তিব্বতের অংশ বিশেষে এই পর্বতশৃঙ্গের অবস্থান। প্রতিবছর পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ জয় করার জন্য মানুষ এভারেস্ট চূড়ায় পা রাখেন। কিন্তু এভারেস্ট জয়ের প্রথম গল্পটি মোটেও সুখের ও সহজ ছিল না।

নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগে ও স্যার এডমন্ড হিলারি প্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন। ১৯৫৩ সালের ২৯ মে এই দুই ব্যক্তি বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গে পা রাখেন। শেরপা তেনজিং নোরগে তার এই কীর্তির জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।

শেরপা তেনজিং নোরগের জীবনী সূত্রে জানা গেছে, তিনি নেপালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তবে কেউ কেউ বলে থাকেন তিনি তিব্বতি ছিলেন। ২০ বছর বয়সে তেনজিংয়ের সুযোগ আসে এভারেস্ট অভিযানে যাওয়ার। মালবহনকারী হিসেবে তিনবার ব্রিটিশদের সঙ্গে তিব্বতের পাশ থেকে এভারেস্ট অভিযানে যান তিনি।

ঐতিহাসিক বর্ণনা মতে, ১৯৪৭ সালেও একবার এভারেস্টে ওঠার প্রচেষ্টায় অংশ নেন নোরগে। কিন্তু সেবার তিনি ব্যর্থ হন। ১৯৫৩ সালে সপ্তমবারের মতো এভারেস্ট জয়ের অভিযানে অংশ নেন তেনজিং নোরগে। এই অভিযানটিই ছিলো মানুষের প্রথম সফল এভারেস্ট অভিযান।

সেই অভিযানে চার শতাধিক অভিযাত্রী অংশ নেন, যার মধ্যে ছিলেন ২০ জন শেরপা এবং ৩৬২ জন কুলি। ভূমি থেকে ২৫ হাজার ৯শ’ ফুট ওপরে চূড়ান্ত ক্যাম্প স্থাপনের পর এই অভিযাত্রী দল থেকে ইভান ও বোর্ডিলন নামক দুই অভিযাত্রীকে এভারেস্ট সামিটে পাঠানো হয়। কিন্তু ইভানের অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ায় তারা ফিরে আসতে বাধ্য হন।

এরপর পাঠানো হয় হিলারি ও নোরগেকে। নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে তারা এভারেস্ট জয়ে সফল হন ১৯৫৩ সালের ২৯ মে সকাল সাড়ে এগারোটায়।

এভারেস্ট জয়ের পরেও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পর্বতারোহণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নোরগে। পরে এ বিষয়ক প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলেন তিনি। ১৯৮৬ সালের ৯ মে ভারতের দার্জিলিংয়ে ৭১ বছর বয়সে মারা যান তেনজিং শেরপা।

২৯ মে ২০২২, ০১:২৬পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।