• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রেকর্ডে এগিয়ে আফগান, সাকিবের নেতৃত্বে জয় চায় বাংলাদেশ

রেকর্ডে এগিয়ে আফগান, সাকিবের নেতৃত্বে জয় চায় বাংলাদেশ

স্পোর্টস প্রতিবেদক

আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরু করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচটি সরসারি দেখাবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), টি-স্পোটর্স ও নাগরিক টেলিভিশন।

ইতোমধ্যে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে মিশন শুরু করেছে আফগানিস্তান। পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে এমন জয় বাংলাদেশের জন্য সতর্কবার্তা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের রেকর্ডও বেশ ভালো। নয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছে আফগানিস্তান, তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।

কিন্তু আফগানিস্তানের এগিয়ে থাকার পরিসংখ্যান কিংবা শ্রীলংকাকে হারানোর রেকর্ডে মোটেও বিচলিত নয় বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্বে দল হিসেবে পারফর্ম করে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে বদ্ধপরিকর টাইগাররা।

মঙ্গলবারের ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে নিজের তৃতীয় মেয়াদ শুরু করবেন সাকিব। আর বাংলাদেশের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে শততম ম্যাচ খেলতে নামবেন সাকিব। তার আগে দেশের হয়ে শততম ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম।

নিঃসন্দেহে, নিজের মাইলফলক স্পর্শ করার ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করবেন সাকিব। অধিনায়ক হিসেবে অনুপ্রাণিত হবার মত যথেষ্ট পরিসংখ্যান রয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সাকিবে ঝুলিতে আছে ১২১টি উইকেট। ব্যাটিংয়ে দেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। তার রান ২০১০। দেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান আছে সাবেক অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের (২০৭০ রান)।মাহমুদুল্লাহকে টপকাতে ৬১ রান দরকার সাকিবের।

গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হতাশাজনক বিদায়ের পর এই ফরম্যাটে ঘুড়ে দাঁড়াতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাকিবকে। বিশ্বকাপের পর এ পর্যন্ত ১০ ম্যাচে মাত্র ২টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি ৮টি হারের মধ্যে জিম্বাবুয়ের কাছে টাইগারদের প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুটি।

সাকিব বলেছেন, ‌'রাতারাতি কিছু পরিবর্তন করা যায় না। তবে বাংলাদেশের যেভাবে খেলা উচিত সেভাবে খেলার চেষ্টা করবে।' সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের বড় দুর্বলতা কাটিয়ে দ্রুত রান তোলার দিকে ইঙ্গিত করেছেন নতুন অধিনায়ক।

বাংলাদেশের অনুশীলন ম্যাচ এবং প্রশিক্ষণে প্রমান মিলেছে, অতীতের চেয়ে বেশি ছক্কা মারার উপর বেশি মনোযোগ দিয়েছে তারা। আক্রমণাত্মক ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে না পারাই, এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের হারের প্রধান কারণ বলে মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দলের চিত্র উঠেছে অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের মুখে, ‘কে ভালো দল তা মাঠেই প্রমাণিত হবে। সব বিভাগে সবাই যখন ভালো খেলে স্বাভাবিকভাবেই আমরা ম্যাচ জিতি। আমরা ভালো ফলের ব্যাপারে আশাবাদী।’

মিরাজ বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জয় দিয়ে শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদী। আমাদের প্রতিপক্ষ কে, সেটা নিয়ে না ভেবে আমরা শুধুমাত্র আমাদের খেলায় মনোযোগ দিচ্ছি।’

অন্যদিকে, আফগান ব্যাটারদের কাছে ছক্কা হাঁকানো মোটেই কঠিন কিছু নয়। প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী শ্রীলংকার বিপক্ষে সেটাই ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের রেকর্ডও বেশ ভালো। নয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছে আফগানিস্তান, তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।

এ বছর বাংলাদেশের মাটিতে দুটি ম্যাচ খেলেছে আফগানরা। দুদলই একটি করে ম্যাচ জিতেছে। বাংলাদেশ যে কয়টি জয় এসেছে সেগুলো ধীরগতির উইকেটে। তাই শারজাহ উইকেট যদি ধীরগতির হয়, তবে আফগান বিগ হিটারদের চেয়ে সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। আর এটিই আফগানিস্তানের ভয়ংকর টি-টোয়েন্টি ফর্মের সামনে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখবে।

টুর্নামেন্টের আগে, ইনজুরির কারণে লিটন দাস, হাসান মাহমুদ এবং নুরুল হাসান সোহানের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু খেলোয়াড়কে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে লিটনকে হারানোয় বাংলাদেশের ওপেনিং স্লটে গুরুতর শূণ্যতা তৈরি করেছে। ইতোমধ্যেই টিম ম্যানেজমেন্ট ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে ওপেনার হিসেবে এনামুল হক বিজয় এবং নাইম শেখকে খেলাবে। যদিও দু’জনকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য দুর্দান্ত ব্যাটার হিসেবে, বলা হয় না। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট স্পষ্ট করেছে, কীভাবে খেলতে হবে সে ব্যাপারে দু’জনকে নির্দিষ্ট ভূমিকা দেওয়া হয়েছে।

এশিয়া কাপ সাকিবের অধিনায়কত্বে ব্র্যান্ড অব ক্রিকেট খেলতে চায় বাংলাদেশ। আর এই ফরম্যাটে নতুনভাবে টি-টোয়েন্টি যুগের সূচনা করতে আগ্রহী সাকিব।

২৯ আগস্ট ২০২২, ০৮:১২পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।