• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কর্মীদের সান্ত্বনা দিতেই বিএনপির হাঁকডাক: তথ্যমন্ত্রী

কর্মীদের সান্ত্বনা দিতেই বিএনপির হাঁকডাক: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দলীয় কর্মীদের সান্ত্বনা দিতেই বিএনপি নেতারা এত হাঁকডাক দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন- ‘খন্দকার মোশাররফ সাহেবসহ অন্যান্য বিএনপি নেতারা আসলে কর্মীদেরকে সান্তনা দেয়ার জন্যই বড় গলায় কথা বলেন। বিএনপির এই হাঁকডাক আসলে খালি কলসি বেশি বাজার মতো, তার চেয়ে বেশি কিছু না। তারা কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি, পারবেও না।’

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতাদের মুখে বারবার সরকারের পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির এ সমস্ত কথা গদবাধা। আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার কয়েক মাস পর থেকেই এ কথাগুলো বলা শুরু করেছে। প্রকৃতপক্ষে তাদের নেতাকর্মীরাই তাদের সাথে নেই। ১০ ডিসেম্বর তারা যেভাবে হাঁকডাক করেছিল, এরপর যখন তাদের সমাবেশে ১০ লাখ মানুষের কথা বলে ৫০ হাজারের মতো মানুষ হলো এরপর থেকে বিএনপির নেতারা তাদের কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। এখন সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা তাদের কর্মীরাও তাদের সাথে নেই।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন-‘বিশ্বমন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আজকে সমগ্র বিশ্ব তার প্রশংসা করছে, দেশের জনগণও আওয়ামী লীগের সাথে আছে, সরকারের সাথে আছে।’

এর আগে সৈয়দ আশরাফের জীবন থেকে অনেক শেখার আছে এ কথা উল্লেখ করে সৈয়দ আশরাফ স্মরণে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তিনি জাতীয় চার নেতার অন্যতম এবং বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যিনি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন সেই সৈয়দ নজরুল ইসলামের সুযোগ্য পুত্র।’

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দু’বারের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তার মৃত্যু আমাদের কাছে ছিল অপ্রত্যাশিত, অল্প বয়সেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি একজন সজ্জন পরিশীলিত মানুষ ছিলেন। লোভ-লালসার পেছনে তিনি কখনো ছোটেননি। রাজনীতিকে ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন। তার কাছে নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সৈয়দ আশরাফের ছোট বোন সৈয়দা জাকিয়া বারী লিপি ও পরিবারের সদস্যরা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৪৭পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।