বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে গণধর্ষণ: গোপালগঞ্জে আটক ৬
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ছয় জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। র্যাবের দাবি, আটকরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, গোপালগঞ্জ সদরের নবীনবাগ হেলিপ্যাডের সামনে দিয়ে হেঁটে আসছিলেন দুই শিক্ষার্থী। এ সময় একটি অটোরিকশায় তাদের তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে গোপালগঞ্জ জিলা স্কুলের নির্মাণাধীন একটি ভবনে ছাত্রকে বেঁধে রেখে কয়েকজন মিলে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বশেমুরবিপ্রবি’র প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর থানায় অবস্থান নেন।
তিন দফা দাবি জানিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে অবরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
ধর্ষকদের বিচার চাইতে গিয়ে দুই দফা হামলার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় বশেমুরবিপ্রবি’র প্রক্টর রাজিউর রহমান বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেছেন।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এক বিবৃতিতে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে দুর্বৃত্ত কর্তৃক তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।