দরজায় কড়া নাড়ছে ওমিক্রন, সতর্ক থাকুন
প্রতিকী ছবি
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখন বেশ কম। তার পরও আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। কারণ এরই মধ্যে ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’। আর এ কারণেই নতুন করে সতর্কতা ও নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে এখন করোনা সংক্রমণের হার ২ শতাংশের নিচে আছে। এরপরও আমাদের আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই। কারণ দরজায় ওমিক্রন কড়া নাড়ছে। এই মুহূর্তে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। ভ্যাকসিন নিতে হবে। এগুলো নিশ্চিত করতে পারলে ওমিক্রন হোক বা অন্য কোনো ভ্যারিয়েন্ট, তা আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে, দেশে কোভিডে মৃতের সংখ্যা ২৮,০০১ জনে পৌঁছেছে এবং শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫,৭৭,৪৪৩ জনে।
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বিষয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, “আফ্রিকান দেশগুলোতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে বলেই তাদের জন্য বাড়তি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। অন্য যেকোনো দেশেও যদি কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়, তাহলে তাদের বেলায়ও আমরা একইরকম সিদ্ধান্ত নেব। কারণ হলো, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন আর ইমপোর্টেড কেস এক নয়। আফ্রিকায় যেটি হয়েছে সেটি কমিউনিটি ট্রান্সমিশন, আর ইউরোপে যেটি হয়েছে সেটি ইমপোর্টেড কেস।”
তিনি জানান, ইউরোপের দিকেও গভীর মনোযোগ রেখেছে সাস্থ্য অধিদপ্তর। সেখানে যদি কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটে, তাহলে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করতে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার, তা নেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক দেশবাসীকে করোনার নতুন ধরন নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গত রবিবার ঢাকার সাভারে চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের জন্য একটি নবনির্মিত প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বলেন, “ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সীমান্ত বন্ধ বা লকডাউন দেওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “সীমান্ত এলাকার প্রতিটি বর্ডারে স্ক্রিনিং ও পরীক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আমরা আমাদের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তত রেখেছি। ইতোমধ্যে জেলায় জেলায় চিঠি দিয়েছি, তারা যেন ওমিক্রন মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেন।”
তিনি বলেন, “যারা এখন বিদেশে আছেন, তাদের এই মুহূর্তে দেশে না আসাই ভালো। যারা বিদেশ থেকে আসবেন, তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। প্রবাসীদের পরিবারকে নিরাপদে রাখতে হবে, দেশকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে। কাজেই আপনারা যেখানে আছেন, সেখানেই নিরাপদে থাকুন।”
ধারণা করা হচ্ছে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন অত্যন্ত সংক্রামক এবং ঘন ঘন মিউটেশন করতে পারে। এই ধরনের বিস্তারের কারণে অনেক দেশ ভ্রমণ ও চলাচলের ওপর আবারও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করছে।
এবি/এসএন