• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাওয়াদের প্রভাবে উপকূলে বৃষ্টি শুরু, আঘাত হানবে যেখানে

জাওয়াদের প্রভাবে উপকূলে বৃষ্টি শুরু, আঘাত হানবে যেখানে

প্রতিকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে পটুয়াখালী জেলার উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোরের বিভিন্ন এলাকায় গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার পর বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, সকাল থেকে পটুয়াখালীতে ট্রেস বৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৬টায় পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়ায়েদ ৮৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থা করছিল। এটি আরও উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গভীর বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। বৃষ্টির কারণে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষরা।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর সর্তকতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি সাগর উত্তাল রয়েছে।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সংকট মোকাবিলা কমিটি। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে রাজ্য প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে বুধবার ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজীব গৌবার নেতৃত্বে এ বৈঠক হয়েছে।

বৈঠক শেষে ভারতের কেন্দ্রীয় মৌসুম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল গণমাধ্যমকে জানান, একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগর ঘেঁষে। এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে। ঝড়টি অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করবে। তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার।

ঘূর্ণিঝড়ের সময় ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও সমুদ্রের প্রবল ঢেউয়ের আভাস রয়েছে। উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূলে এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেবে। ঘূর্ণিঝড় মূলত প্রভাব ফেলবে শ্রীকাকুলাম, বিশাখাপত্তম ও বিজয়নগরমে। এ ছাড়া এর প্রভাব পড়বে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশ, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মুখ্যসচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

 

এবি/এসএন

০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:২৬পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।