• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি: বিপাকে ১০ হাজার পরিবার

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি: বিপাকে ১০ হাজার পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা পাাহাড়ি ঢল ও ভারতের গজলডোবার সব কয়টি গেট খুলে দেওয়ায় তিস্তায় হু হু করে বাড়ছে পানি। এরই মধ্যে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার ভোর থেকেই তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে।

এতে লালমনিরহাটের তিন উপজেলার তিস্তার চর এলাকায় বসবাসরত ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ধানক্ষেত। পানির তোড়ে ভেঙে গেছে অসংখ্য রাস্তাঘাট। ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় পরিবারগুলো উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাট বাইপাস সড়কও হুমকির মুখে পড়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একটি সূত্র জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাত থেকে তিস্তার পানি বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৯ টায় ওই পয়েন্টে ৫৩ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপরে। তিস্তার পানি ক্রমেই বাড়ছে।

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে এসব এলাকায় বসবাসরত প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মফিজার রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, শুষ্ক মৌসুমে এমন বন্যা এর আগে দেখা যায়নি। গত দুমাস আগে তিস্তা শুকিয়ে গিয়েছিল। আজ নদীতে ভরপুর পানি। অনেক বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে।

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউ দৌলা গণমাধ্যমকে বলেন, তিস্তা ব্যরাজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তাই তিস্তাপাড়ের মানুষদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, তিস্তার পানি বাড়ার বিষয়টা আমরা জেনেছি। পানিবন্দি পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সহায়তা আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য সহায়তার ব্যবস্থা করছেন।

 

এবি/এসএন

২০ অক্টোবর ২০২১, ০৩:৩৫পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।