• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন আইন হচ্ছে না

ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন আইন হচ্ছে না

প্রতিকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সহসা হচ্ছে না ই-কমার্স খাতের জন্য নতুন কোনো আইন। কাজেই দেশে হুট হাট গজিয়ে উঠা ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণার ঘটনা একের পর এক প্রকাশ্যে এলেও তা রোধ করার কোনো বিশেষ আইন নেই। দেশের প্রচলিত আইনেই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণা ও অনিয়মের বিচার করার পথে হাটছে সরকার। সম্প্রতি ই-কমার্স খাতে চলমান জালিয়াতির ঘটনার আলোকে সরকার গঠিত একটা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির বৈঠকে এসব নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ১৬ সদস্যের ওই কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান।

বৈঠকে অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, আপাতত বিশেষ কোনো আইন নয়, বরং দেশে বিদ্যমান আইনগুলো সংশোধন করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। যাতে ত্রুটিপূর্ণ ই-কমার্স খাতকে সৃশৃঙ্খল রাখা যায়।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম রোধে নতুন আইন প্রসঙ্গে এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, নতুন আইন প্রণয়নের বিষয়টি দীর্ঘ প্রক্রিয়া ও দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ্য। কাজেই ১৬ সদস্যের কমিটির অধিকাংশ সদস্যই মনে করছেন, দেশে বিদ্যমান আইন সংশোধন করেই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব।

এদিকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ কমিটি। পরে গত মঙ্গলবার কমিটি প্রথমবারের মতো বৈঠকে মিলিত হয়।

বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নতুন কোনো আইনের প্রয়োজন আছে কিনা, তা যাচাই করতে ৯ সদস্যের উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইনি শাখা, সরকারের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের প্রতিনিধিরা কমিটিতে রয়েছেন।

আগামী ১ মাসের মধ্যে এই উপকমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ভোক্তারা যাতে সহজেই অভিযোগ জানিয়ে সমাধান পেতে পারেন, সে জন্য সরকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স সেলের পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে শক্তিশালী করবে বলেও জানা গেছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ৩০ জুন পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর পর ই-কমার্স খাতে প্রতারণার ঘটনা নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে। এর পরে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বড় ধরণের প্রতারণার ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণা রোধে গত জুলাই মাসে সরকার একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি প্রণয়ন করে। যা ই-কমার্স খাতের জন্য একটি নির্দেশিকা হিসেবেও কাজ করছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

 

এবি/এসএন

০৬ অক্টোবর ২০২১, ০৪:৩৪পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।