• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
উপকূলে সংকেত কমল

উড়িষ্যায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’

উড়িষ্যায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’

প্রতিকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় ‘গুলাব’ বাংলাদেশের উপকূল থেকে সাড়ে ৫ শ’ থেকে ৬শ’ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছে। এটি ক্রমশ পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘুর্ণিঝড় ‘গুলাব’ বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার তেমন সম্ভাবনা নেই। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এলাকায় এটি মোটামুটি প্রভাব বিস্তার করবে। তবে ঘূণির্ঝড় ‘গুলাব’ বাংলাদেশ উপকূলে তেমন একটা প্রভাব সৃষ্টি করবে না বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খন্দকার হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘনীভূত আকারে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাবে’ পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এটি উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম অথবা উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।

এদিকে আবহাওয়ার বিশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে সাগর উত্তাল থাকতে পারে। এসব বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারি অথবা মাঝারি ধরণের বৃষ্টিপাত হতে পারে।

আবহাওয়ার সতর্ক বার্তায় আরও বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ আরও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি ক্রমশ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সকল নৌকা ও ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সাথে এসব নৌকা ও মাছ ধরার ট্রলার সমূহকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে সতর্ক করা হয়েছে।

অপরদিকে রবিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের উপকূলীয় জেলা সমূহের কোথাও কোথাও ভারী থেকে মাঝারি ধরণের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ূ অক্ষের বাড়তি অংশ রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, উড়িষ্যা, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশ হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। যদিও মৌসুমী বায়ূ বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে এটি মাঝারী অবস্থায় বিরাজ করছে।

 

এবি/এসএন

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:১৯পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।