• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রেণিকক্ষের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

শ্রেণিকক্ষের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

ইবি সংবাদদাতা

শ্রেণিকক্ষের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ল’ এ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২১ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। পরে শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দসহ দুই দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। শ্রেণিকক্ষ দখলের চেষ্টা করায় প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করা হয় স্মারকলিপিতে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করে গত ৪ বছরেও স্থায়ী কোন শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ পায়নি বিভাগটি। বর্তমানে অস্থায়ীভাবে বরাদ্দকৃত শুধু একটি কক্ষ থাকলেও ৪ টি সেশনের ক্লাস নিতে হিমশিম খাচ্ছে বিভাগটি। বিভিন্ন সময়ে শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দের দাবি জানালে মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের চতুর্থ তলার নির্মাণকাজ শেষে সেখানে অর্ধেকাংশ বরাদ্দ দেয়ার আশ্বাস দেয় প্রশাসন। তবে গত ১ বছরে ভবনের মূল নকশা পরিবর্তন করে কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া কক্ষগুলো দখলের জন্য একটি বিভাগ থেকে সেখানে আসবাবপত্র ঢোকানো হয়েছে।

গত মঙ্গলবার কক্ষ দখলের জন্য ওই ফ্লোরে অবস্থান নেন ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা হুমকির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। ফলে হুমকিদাতার বিচার ও শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে বিভাগটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতার বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমাদের বিভাগের জন্য কোনো শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ ছিল না। শিক্ষার্থীরা ক্লাস, সেমিনারসহ বিভিন্ন একাডেমিক কাজে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়েছে। আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে ক্লাস-পরীক্ষায় ফেরানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি প্রশাসনকেও বিষয়টি অবগত করেছি। আশা করছি প্রশাসন দ্রুত শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে যাতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষার কোনো ব্যাঘাত না ঘটে এবং তাদের সুন্দর শিক্ষাজীবন সুনিশ্চিত হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ভবনটির কাজ এখনো চলমান রয়েছে। কাজ শেষ হলে ঠিকাদাররা আমাদেরকে ভবন বুঝিয়ে দিবেন। তারপর আমারা বরাদ্দের বিষয়ে এগোবো। এখনো সেখানে কোনো বিভাগকেই লিখিতভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়নি।

হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, উপাচার্য স্যার ক্যাম্পাসের বাইরে আছেন। তিনি ক্যাম্পাসে ফিরলে আমরা বিষয়টি নিয়ে বসবো। শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এটা হতে পারে না। যদি কেউ এরকম হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে গুরুতর অপরাধ করেছে।

২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:১৯পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।