• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে ডিআইইউকে ইউজিসির আল্টিমেটাম

স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে ডিআইইউকে ইউজিসির আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ২২ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময়সীমা বেধে দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ইউজিসির বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হয়েছে। বাকি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কেও কিছুদিনের সময় বেধে দিয়েছে ইউজিসি। এ ছাড়া স্থায়ী ক্যাম্পাস ইস্যুতে ইতোমধ্যে ৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।

সোমবার (২ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইউজিসি।

এদিকে নির্ধারিত সময় পার হলেও সকল একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর না করায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো তিন মাস সময় বেধে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সকল কার্যক্রম স্থানান্তর করা না হলে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন৷

বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- রয়েল ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়। ইউজিসির বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সব কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের ১২ বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হতে হবে। আইন অমান্য করা এমন ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন করে সব কার্যক্রম সেখানে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অনেকেই তা এখনো করেনি। এদের মধ্যে যাদের অগ্রগতি একবারেই নেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে। আর যাদের অগ্রগতি দৃশ্যমান তাদের নতুন করে সময় দেয়া হচ্ছে।

 এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড.সাইফুল ইসলাম ফোন পাওয়ার পর প্রশ্ন শুনে কল কেটে দেন এবং পরবর্তীতে আবার কল দিলেও তিনি ফোনকল কেটে দেন।

এ বিষয়টি জানতে চাইলে উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. গনেশ চন্দ্র সাহাকে কল করা হলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান৷

০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:১৭পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।