• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ডিআইইউ'র ক্যান্টিনে পঁচা-বাসি খাবার, অভিযোগ দিলেই শিক্ষার্থীদের হুমকি

ডিআইইউ'র ক্যান্টিনে পঁচা-বাসি খাবার, অভিযোগ দিলেই শিক্ষার্থীদের হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ( ডিআইইউ) ক্যাফেটেরিয়ায় নিম্নমানের খাবার নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে অসন্তোষ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, খাবারের দাম অনেক বেশি হলেও মান খুবই খারাপ। এছাড়া নোংরা পরিবেশে করা হয় খাবার পরিবেশন। পঁচা-বাসি খাবারও গরম করে পুনরায় বিক্রির অভিযোগও করেন তারা। এর আগে খাবারে মরা পোকা এবং খাবারে টিকটিকির ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লেও তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বিকার।

এ নিয়ে শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ক্যাম্পাস ডিরেক্টর এবং উপ-উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্যান্টিনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে খাবার। টেবিলের নিচে ফ্লোরে ঢাকনা ছাড়া রাখা হয়েছে রান্না করা তরি-তরকারি। ক্যান্টিন জুড়ে ভনভন করছে মাছি। ভ্যাঁপসা দুর্গন্ধের মাঝে কেটে রাখা কাঁচা তরকারি ছড়ানো রয়েছে। এছাড়া খাবারের বাটির পাশেই ধোয়া হচ্ছে ময়লা থালা-বাসন।

ক্যান্টিনে খাবার বিক্রির স্টলে সাজানো খাবার নিয়েও রয়েছে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। এর আগে ক্যান্টিনের খাবারে মরা মাছি এবং টিকটিকি পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করলেও তারা নীরব ভূমিকায় রয়েছেন।

ক্যাফেটেরিয়া খাবার খেতে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খাবারের মান খারাপ। পাকোরা, সামুচাসহ অন্যান্য আইটেমগুলো আগের দিনের বাসি। খাবারের মান নিয়ে কথা বলতে গেলে কাউন্টারে থাকা ব্যক্তি খাবার পরিবর্তন করে দিতে চায় না। উল্টো ছাত্রদের নাম ঠিকানা জানতে চেয়ে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় ক্যান্টিনের লোকজন। তারা এমন ব্যবহার করেন যেন শিক্ষার্থীরা তাদের হাতে জিম্মি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ইউনিভার্সিটির আশেপাশে কোন ভালো হোটেল বা খাবার দোকান না থাকায় আমরা বাধ্য হয়েই এই ক্যান্টিন থেকে খাই। এখানে চড়া দামে বিক্রি করা হয় বাসি খাবার। এসব দেখার যেন কেউ নেই।

এ বিষয়ে ক্যান্টিন মালিকের সাথে কথা বলে হলে তিনি খাবার পরিবর্তন করে দেবার কথা বলেন। একইসাথে এসব খাবার মানসম্মত বলেও দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক শওকত আলী বলেন, এ ধরনের অভিযোগ অনেকবার পেয়েছি। ক্যান্টিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বারবার বলার পরও সে শুধরাইনি। তিনি তার সামনে থাকা খাবার দেখিয়ে বলেন আমি নিজেও ক্যান্টিনের খাবার খাই না।

শওকত আলী অভিযোগ গ্রহণ করে বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

২৬ নভেম্বর ২০২২, ০৩:১৪পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।