• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ডিআইইউতে শিক্ষার্থীর বাবাদের তালিকা চায় ছাত্রলীগ নেতা!

ডিআইইউতে শিক্ষার্থীর বাবাদের তালিকা চায় ছাত্রলীগ নেতা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) সিএসই বিভাগের কুতুব আলম নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

রবিবার (২১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আবু তারেক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, কুতুব আলম ডিআইইউ সিএসই বিভাগের ডে-৫৫ ব্যাচের ছাত্র। গত ২৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিপিসি ক্লাবে ব্যানার টানানো ও বন্যার ত্রাণের টাকার হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা লিমন সরকারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে লিমন সরকারের নেতৃত্বে রাফিদ, আব্দুর রহমান, তানজিন, সুজন, রাজকুমারসহ আরও কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী শিক্ষার্থী কুতুব উদ্দিনকে মারধর করে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মারধরের ঘটনায় জড়িতদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের কর্মী। ঘটনার সময় গ্রীন রোড ক্যাম্পাস ক্যান্টিনের সিসি ক্যামেরাও অজানা কারনে বন্ধ ছিল বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগকারী কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘বিচার না চাইতে নানামুখী চাপ এবং অপপ্রচারের ভয়ে আমি কিছুই বলতে পারিনি। ঘটনার পরিপেক্ষিতে আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি। একইসাথে আমার পরিবারে বিষয়টি জানালেও তারা আমার জীবন নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে আমি নিরাপত্তা সংকটে ভুগছি। আমার মত এমন ভুক্তভোগীর আরও অনেকেই আছেন। তারা কেউই প্রাণের ভয়ে মুখ খোলেন না।’

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমের হাতে আসা লিমন সরকার ও তার সহযোগীদের কনভারসেশনের স্ক্রিনশটে দেখা দেখা গেছে, লিমন তার সহযোগীদের কুতুককে মারধরের নির্দেশ দিচ্ছেন। একইসাথে কুতুব ও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বাবাদের তালিকা চাওয়ার প্রমাণও মিলেছে স্ক্রিণশটে। এছাড়া লিমনের আরেক সহযোগী আব্দুর রহিম লিখেছেন 'কুতুবকে কুপাবো'।

অভিযোগের বিষয়ে লিমন সরকার বলে, ‘অভিযোগপত্র প্রদান বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’ কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছিল এমন প্রশ্নের উত্তরে লিমন সরকার বলেন, ‘অভিযোগকারী কুতুব আলমের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকে নানান অভিযোগ পাওয়া যায়। তার ভিত্তিতে সেদিন তাকে ডেকে ভবিষ্যতে যেন এসব না করেন সে বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আবু তারেক বলেন, ‘আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তিন বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

২২ আগস্ট ২০২২, ০৪:১৫পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।