রাশিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়াল ভিয়েতনাম, ইউক্রেনে রুশ ট্যাংক বিক্রি!

প্রতিকী ছবি
ইউক্রেনে সেনা অভিযানের নামে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে রাশিয়া। এমন পরিস্থিতিতে এবার রাশিয়ার সঙ্গে সব ধরনের বিমান চলাচল স্থগিত করেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম। ২৫ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ভিয়েতনাম নিউজ এজেন্সি (ভিএনএ) বরাত দিয়ে বিবিসি এ খবর দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভিয়েতনামের বিমান চলাচল সম্পর্কিত পদ্ধতি, প্রয়োজনীয়তা এবং নিয়মাবলি পর্যালোচনা করার জন্য স্থগিতাদেশ আরোপ করা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন যুগ থেকেই রাশিয়া ও ভিয়েতনামের সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ। এমনকি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান পরিচালনার ঘটনায়ও প্রতিক্রিয়া বা নিন্দা জানায়নি ভিয়েতনাম। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। ভিয়েতনামের এমন সিদ্ধান্তের পেছনে মস্কোর ইশারা রয়েছে কিনা তা নিয়ে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ সেনারা মোটা অর্থের বিনিময়ে যুদ্ধে ব্যবহৃত ট্যাংক বিক্রি করে দিচ্ছে বলে খবর বেরিয়েছে। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ দাবি করেছেন।
তুর্কি গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস মোনাস্টিরস্কি দাবি করেছেন, ১০ হাজার মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে একটি ট্যাংক সরবরাহ করেছে এক রুশ সেনা।
ডেইলি সাবাহ বলছে, ভিক্টর আন্দ্রুসিভ নামের এক রুশ সেনা দাবি করেছেন, মিশা (মিখাইল নামের সংক্ষিপ্ত রূপ) নামের এক রুশ সেনা এ ঘটনায় জড়িত। মিশা স্বেচ্ছায় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে একটি ট্যাংক সরবরাহ করেছেন।
ভিক্টরের দাবি, মিশা কিছুদিন আগে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ ট্যাংক সরবরাহের বিষয়ে বলেন। পরে এ ঘটনা ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা বিভাগের নজরে আসে। এমনকি ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানও এ বিষয়টি জানতেন। পরে ওই রুশ সেনা যখন ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে ট্যাংক দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছান। পরে ওই রুশ সেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।