• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বের প্রথম ঘড়ির গল্প ও সূর্যঘড়ির ইতিহাস

বিশ্বের প্রথম ঘড়ির গল্প ও সূর্যঘড়ির ইতিহাস

ছবি- সংগৃহিত

ফিচার ডেস্ক

ঘড়ি একটি সময় নির্ণায়ক যন্ত্র। আধুনিক এই যুগে অত্যাধুনিক সব ঘড়ি পাওয়া যায়। স্মার্টওয়াচ ঘড়ির বিবর্তনের সর্বশেষ সংস্করণ বলা যেতে পারে। তবে আজকের আধুনিক এই ঘড়ি একদিনে এই অবস্থানে পৌছেনি। নানা বিবর্তন ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতার মধ্য দিয়ে আজ আপনার হাতের নাগালে রয়েছে অত্যাধুনিক সব ঘড়ি।

কিন্তু বিশ্বের প্রথম ঘড়ি কেমন ছিল আর আধুনিক ঘড়ির ইতিহাসই বা কেমন ছিল তা অনেকেরই অজানা। প্রিয় পাঠক চলুন দেখে নেয়া যাক বিশ্বের প্রথম ঘড়ি সম্পর্কে কিছু তথ্য-

ইতিহাস

ঐতিহাসিক বর্ণনায় পাওয়া যায়, ৭০০ বছর আগে লাতিন শব্দ ‘ক্লক্কা’ থেকে ক্লক শব্দের উৎপত্তি। লাতিন ক্লক্কা শব্দের অর্থ ঘন্টি। যদিও ইতিহাসে এই মূল্যবান আবিষ্কারটির আবিষ্কারক হিসেবে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়না। তবে সূর্য ঘড়ির ব্যবহার শুরু অনেক আগে থেকেই। ঐতিহাসিকদের ধারণা, মিশরীয়রাই প্রথম প্রকৃতিনির্ভর অর্থাৎ সূর্য-ঘড়ি নির্মাণ করেছিল।

সূর্যঘড়ি

এটি প্রথম যান্ত্রিক ঘড়ি। আনুমানিক সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে মিসর ও ব্যাবিলনে এই ঘড়ি তৈরি করা হয়। এই ঘড়িটি আজও টিকে আছে। সেকেন্ড ও মিনিটের কাটা নেই এই ঘড়িতে। নেই কোনো টিকটিক শব্দও। তবে সূর্যঘড়ি সময় দেয়া নিখুঁত ভাবে। গোলাকার চাকতিতে একটি নির্দেশক কাঁটা ও দাগ কাটা সময়ের ঘর, এ নিয়েই সূর্যঘড়ি। ১৪ শতাব্দীতে এসে ইউরোপিয়ানরাই এই তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে প্রথম যান্ত্রিক ঘড়ি আবিষ্কার করেন।

আধুনিক ঘড়ি

অবশেষে ডাচ জ্যোতির্বিদ ক্রিশ্চিয়ার হাইজেন্স ১৬৫৭ সালে এসে সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে মিনিট, সেকেন্ড ও ঘণ্টা নির্দেশকারী উন্নতমানের যান্ত্রিক ঘড়ির নকশা করেন। ঘড়ির আবিষ্কার বিশ্বের প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার গুলোর মধ্যে একটি হিসেবে ধরা হয়।

তবে সবচেয়ে আধুনিক ঘড়ির জনক পিটার হেনলেইন। ১৫০৫ সালে এই ঘড়ি আবিষ্কার করেন তিনি। তাকে বলা হয় ঘড়ি আবিষ্কারের জনক। মনে রাখা ভালো, পিটার হেনলেইনের তৈরি সময় দেখার যন্ত্রটির নাম দেয়া হয় পষড়পশ ধিঃপয। এই যন্ত্রটি দিয়ে নির্ভুলভাবে সময় নির্ণয় করা যায়। এই ঘড়ির নাম দেয়া হয় ‘পোমানডার ওয়াচ’।

১৬ জুন ২০২২, ০২:৫৮পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।