• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

স্কুলের নাটক থেকে রুপালি পর্দার সুচন্দা

স্কুলের নাটক থেকে রুপালি পর্দার সুচন্দা

ফাইল ছবি

বিনোদন ডেস্ক

‘তিন কন্যার এক ছবি, চম্পা ছন্দা আর ববি। আয় না তোরা, আয় না, রাখবো তোদের বায়না, বল না কে কি নিবি’। বাংলা সিনেমার আলোচিত এক গান। যে গানে ঢাকাই চলচ্চিত্রের তিন সহোদর বোনের মুখ রুপালি পর্দায় ভেসে ওঠে। হ্যা বন্ধুরা, বুঝতে আর বাকি নেই। চম্পা, সুচন্দা আর ববিতার কথাই বলছি। বাংলা সিনেমার প্রভাবশালী তিন অভিনেত্রীর অন্যতম ছিলেন সুচন্দা।

সুচন্দার প্রকৃত নাম কোহিনূর আক্তার। ১৯৪৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর যশোরে জন্মগ্রহণ করেন কালজয়ী এই অভিনেত্রী। তিনি একাধারে ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও পরিচালক। ১৯৬০-এর দশকে অভিনয় জীবন শুরু করেন সুচন্দা। তাঁর ছোট বোন ববিতা ও চম্পা ঢালিউডের অন্যতম জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী। নায়ক রিয়াজও তাদের চাচাত ভাই।

দীর্ঘদিন অভিনয়ের পর ২০০৮ সালে ‘হাজার বছর ধরে’ চলচ্চিত্রের মধ্যদিয়ে পরিচালনায় নামেন সুচন্দা। ‘হাজার বছর ধরে’ সিনেমা পরিচালনা করে তিনি সেবছর শ্রেষ্ঠ পরিচালক ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন। ২০১৯ সালে সুচন্দাকে আজীবন সম্মাননা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সুচন্দার ডাক নাম চাটনি। সুচন্দার বাবা এএসএম নিজামউদ্দীন আইয়ূব একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। সুচন্দার মা ডাঃ বেগম জাহান আরা ছিলেন একজন হোমিও চিকিৎসক। তিন বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে সুচন্দা সবার বড়। সুচন্দা যশোর মোমেন গার্লস স্কুলে ও যশোর মাইকেল মধূসূদন কলেজে পড়ালেখা করেন। স্কুল কলেজের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁর অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। তিনি যশোরে কিশোরী নৃত্যশিল্পী হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। যশোরে থাকাকালীন শকুন্তলা নাটকে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন সুচন্দা।

১৯৬৭ সালে ‘বেহুলা’ সিনেমায় নায়ক রাজরাজ্জাকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সুচন্দা। ওই সিনেমার মধ্যদিয়ে পরিচালক জহির রায়হানের সাথে তাঁর ভাব বিনিময় হয় এবং ১৯৬৭ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সুচন্দা-জহির রায়হান। ডাকসাইটে এই অভিনেত্রীর দুই ছেলে। জহির রায়হান নিখোঁজ হওয়ার পর ১৯৭৬ সালে সুচন্দা ব্যবসায়ী এম রেজাউল মালিককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তাদের ঘরে রাফাইয়াৎ মালিক ও রাফাইয়া মালিক নামে আরও দুই মেয়ে রয়েছে।

১৯৬৫ সালে অভিনয় শুরু করেন প্রখ্যাত অভিনেতা কাজী খালেকের একটা প্রামাণ্যচিত্রে অভিনয়ে মধ্যদিয়ে অভিনয়ে অভিষেক হয় সুচন্দার। এ ছাড়া সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘কাগজের নৌকা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ১৯৬৬ সালে সুচন্দার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে।

এ ছাড়া ৬০ এর দশকের শেষের দিকে ‘চাওয়া পাওয়া’, ‘নয়নতারা’, ‘সুয়োরানী দুয়োরানী’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘কাচের স্বর্গ’, ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুবাদে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

২২ আগস্ট ২০২২, ০৭:৪৭পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।