• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বই প্রকাশনা উৎসব

গণিত ভীতি দূর করবে ‘গল্পে গল্পে গণিত শিখি’

গণিত ভীতি দূর করবে ‘গল্পে গল্পে গণিত শিখি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে “গল্পে গল্পে গণিত শিখি” বই এর প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শারমীন কবীর ও একদল শিক্ষার্থীর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য রচিত হয়েছে ‘গল্পে গল্পে গণিত শিখি’ বইটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল হালিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের সিনিয়র শিক্ষক এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান। আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বইটি কিভাবে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গণিত শিখনে সহায়তা করবে সে বিষয়ে শিক্ষক ও বইটির লেখক প্যানেলের ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বলেন, বইটির মূল লক্ষ্য হবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিত ভীতি দূর করা। আনন্দদায়ক গণিত শিখনে সহায়তা করবে। বইটিতে গল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন গাণিতিক বিষয়বস্তুর সাথে আছে আকর্ষণীয় চরিত্র, যেগুলো শিক্ষার্থীদের মন জয় করবে।

উদ্যোক্তারা আরও বলেন, একটি গল্পের মাধ্যমে গণিত শেখার ব্যাপারটা যেকোনো শিক্ষার্থীর কাছেই আনন্দজনক। গল্প কৌতূহলের উদ্বেগ জাগায়, যা গণিত শেখার জন্য সবচেয়ে জরুরী।

বইটির লেখক প্যানেলের ২৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে আমরা গণিতের বিভিন্ন অংশের সাথে পরিচিত হই৷ বীজগণিত, জ্যামিতি এবং পরিসংখ্যানে আমরা নতুন নতুন শব্দ ও সংকেত সম্পর্কে জানি । বইটির সাহায্যে গণিতের সেই ভয় দূর হবে। শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নিজেদের জ্ঞান যাচাই করতে সক্ষম হবে, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গাণিতিক সমস্যা সমাধানের সুযোগ পাবে। বইটি শিক্ষার্থীদের গণিতের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে এবং তাদের গণিতের দক্ষতা উন্নত করতে সহায়তা করবে।

এরপর বইটির মোড়ক উন্মোচন শেষে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল হালিম উদ্যোক্তাদের অভিনব এই কাজের জন্য সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, "গল্পে গল্পে গণিত শিখি" বইটি আমাদের জন্য গৌরব বয়ে আনবে। বইটি গণিতের মৌলিক জ্ঞান ও দক্ষতাসমূহ অর্জনে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে।

বইটির সম্পাদক ও স্বত্বাধিকারী শারমীন কবীর বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষ-ই অন্তরে ভালো কিছু করার তাড়না অনুভব করে। সে তাড়না থেকেই শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা এই বইটি রচনা করেছে। ভবিষ্যতে এই ধরণের কাজকে আরো এগিয়ে নেবার ইচ্ছে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উদ্যোগেই এমন বই রচনার স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে।’

 

০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৮পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।