পায়ের জুতা কেমন হওয়া দরকার
সুস্থতার জন্য হাটাহাটির বিকল্প নেই। শরীরচর্চা, হাটাহাটি কিংবা সাভাবিক চলাফেরা, জুতা ছাড়া সম্ভব নয়। তবে দীর্ঘসময় জুতা পরার আগে সঠিক জুতা নির্বাচন করা জরুরি। একই ভাবে শরীরচর্চা ও হাটার জন্য পৃথক জুতা বাছাই করা উত্তম। সঠিক জুতা ব্যবহার না করার ফলে পায়ের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি পা থেকে শরীরেও ছড়াতে পারে রোগ।
গবেষকরা বলছেন, পায়ের তালুর প্রতিটি জায়গার কার্যকারিতা রয়েছে। মানুষের দেহের প্রতিটি অঙ্গের সঙ্গে পায়ের তালুর দারুণ সংযোগ রয়েছে। তাই, পা ভালো থাকা মানে শরীরও ভালো থাকা।
জুতা কেমন হবে
আরামদায়ক: প্রথমত খেয়াল করুন, আপনার জুতা আরামদায়ক কিনা। খুব আঁটসাঁট বা ঢিলেঢালা জুতা পরবেন না। পায়ের সঙ্গে ফিট হয়, এমন জুতা ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখবেন, যেন জুতা পরে আপনার আরাম লাগে।
চামড়ার জুতা পরুন: যদি দীর্ঘসময় জুতা পরে কাজ করতে হয়, তাহলে চামড়ার জুতা ব্যবহার করা ভালো। র্যাক্সিন বা অন্যান্য কৃত্রিম উপাদানে তৈরি জুতার চেয়ে চামড়ার জুতা বেশি আরামদায়ক।
উচু জুতা নয়: জুতা কেনার সময় জুতার সোল বা তলানি দেখে নিন। উচু, শক্ত ও ভারি সোলযুক্ত জুতা পরবেন না। জুতার সোল ভারি হলে হাটাচলা করতে অসুবিধা হয়। অনেকের পায়ে ব্যথা হতে পারে। সোল নরম দেখে জুতা পরুন।
সঠিক মাপের জুতা পরুন: জুতা কেনার আগে সঠিক ভাবে পরিমাপ করুন। পায়ে জুতা পরে ফিট হয় কিনা দেখে তারপর জুতা কিনুন। সবসময় খেয়াল রাখুন, পায়ের কোনো আঙুল জুতায় চেয়ে আছে কিনা। এমন হলে জুতা কিনবেন না।
সঠিক জুতা পরুন: উচু হিলযুক্ত ও সরু জুতা না পরায় ভালো। এ ছাড়া ফিতা ছাড়া উচু হিলযুক্ত জুতা পরা ঝুঁকিপূর্ণ। অতিরিক্ত আঁটসাঁট ও শক্ত জুতা পরলে পায়ে রক্ত চলাচল বিঘ্ন ঘটে।
দৌড়ানোর জন্য জুতা: যারা সকালে ব্যায়াম করার জন্য জুতা কিনতে চান, তারা একটু নরম ও উচু সোলযুক্ত জুতা পরবেন। উচু নরম সোল হলে পায়ের গোড়ালিতে আরাম পাওয়া যায়। এতে দৌড়ানো ও হাটাহাটি করতে আরাম লাগে।
জুতার তলা ঠিক কিনা দেখুন: আপনি যে জুতা পরছেন, তার তলা ঠিক আছে কিনা দেখুন। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে জুতার তলার বিট নষ্ট হয়ে গেলে জুতা পরিবর্তন করুন। ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে মোটা বিট বা খাদযুক্ত জুতা পরা সবচেয়ে নিরাপদ।
তথ্যসূত্র: ফুট কেয়ার।