• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সস্তির রোজায় যেমন হবে স্বাস্থ্যকর সেহরি

সস্তির রোজায় যেমন হবে স্বাস্থ্যকর সেহরি

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান চলছে। এরই মধ্যে দেশে শুরু হয়েছে ভ্যাপসা গরম। গরমে রোজা পালনে বেশ কিছু সতর্কতা জরুরি। পাশাপাশি প্রয়োজন সচেতনতার। সঠিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে সঠিক খাবার গ্রহণ করার বিকল্প নেই। এ ছাড়া গতানুগতিক ট্রেডিশনাল রকমারি খাবারের ভুরিভোজ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সুস্থভাবে রোজা পালনের জন্য প্রয়োজন ‘খুব সাধারণ’ খাবার।

পুষ্টিবিদদের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, সেহরিতে অত্যন্ত সাধারণ খাবার রাখা উচিত। হালকা পাতলা তরকারি দিয়ে ভাত বা রুটি খাওয়া সবচেয়ে ভালো। এ ছাড়া ভিটামিন সি, এ, ডি এবং জিংক ও সেলেনিয়াম যুক্ত খাবার গ্রহণ করা যেতে পারে।

রাতের খাবার

ইফতারের পর রাতের খাবার হিসেবে হালকা কিছু রাখুন। এতে ঘুমও ভালো হবে আবার ওজনও বাড়বে না। রাতে দুধ-রুটি-ফল, রুটি-সবজি-ডিম, রুটি-ডাল-সবজি, চিড়া- দুধ, ওটস-দুধ, সাগু-দুধ অথবা সবজি ও মাংস দিয়ে তৈরি স্যুপ ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

সেহরি যেমন হবে

তাৎপর্যপূণ্য একটি খাবার সেহরি। সঠিক পরিমাণের সেহরি আপনার দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করবে। সেহরিতে সহজে হজম হয় এমন খাবার রাখুন। ভাত অথবা রুটির সঙ্গে নরম সুসিদ্ধ সবজি ও মাছ সবচেয়ে উত্তম খাবার। তবে যারা মাছ খেতে পারেন না তারা মাছের পরিবর্তে মুরগির মাংস বা ডিম খেতে পারেন। সেহরিতে ডাল বা ডাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। এ ছাড়া যারা সেহরিতে তরকারি জাতীয় খাবার খেতে পারেন না, তারা চাইলে দুধ ভাত আর কলা বা খেজুর খেতে পারেন। অনেকেই সেহরিতে পাউরুটি ও স্ন্যাকস জাতীয় খাবার খায়, এটি মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

পুষ্টিগুণসম্পন্ন সহজ সেহরি

→ ভাত+তরকারি+ডিম, পান্তাভাত+আলুর তরকারি+বেগুন ভর্তা ও ডাল।

→ দুধ+কলা+একটি ডিম, ভাত+ডিম ভাজি+পেপের তরকারি, চিড়া+কলা+একটি ডিম।

→ মুড়ি (ভেজানো পানিতে)+কলা+ডিম।

→ সেহরির শেষে একটি খেজুর (ডায়াবেটিস না থাকলে)।

সতর্কতা

সেহরিতে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত শরবত অথবা কৃত্রিম জুস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এ ছাড়া যারা দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিক, কিডনি রোগ, হজমজনিত সমস্যা ইত্যাদিতে ভুগছেন তাঁরা একজন পুষ্টিবিদ অথবা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে সেহরি করবেন।

 

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

২৭ মার্চ ২০২৩, ১১:৫০এএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।