যে উপায়ে সহজেই দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য
প্রতিকী ছবি
কোষ্ঠকাঠিন্য এক অসহ্য কষ্টকর শারীরিক সমস্যা। খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা ও অভ্যাসের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগেন অনেকে। কেউ কেউ এই কষ্ট নিজের মধ্যে চেপে রাখেন বছরের পর বছর। বর্তমানে দেশে লাখ লাখ মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। কোষ্ঠকাঠিন্য এখন যেকোনো বয়সের মানুষের হচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সহজ উপায়
পানি পান করুন পর্যাপ্ত: যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তারা পর্যাপ্ত পানি পান করুন। দিনে অন্তত সাড়ে তিন লিটার থেকে ৪ লিটার পানি পান করুন।
পাকা কলা খান: পাকা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দারুণ কার্যকরী। পাকা কলায় থাকা ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ হজমশক্তি বাড়িয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
পেয়ারা: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পেয়ারা বেশ কার্যকরী। এতে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম ও ফাইবার পেটের সমস্যা দূর করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে না।
শাক খান বেশি: গবেষকরা বলছেন, দীর্ঘ দিনের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে শাক অত্যন্ত কার্যকরী। নিয়মিত খাবার তালিকায় শাক রাখুন। শাকে থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায়।
গাজর ও শসা: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় গাজর ও শসা রাখুন। এই দুটি সবজি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে বিশেষ ভাবে কার্যকরী। যা গবেষণায় প্রমাণিত।
লাউ ও পেঁপেঁ খান: তরকারি হিসেবে লাউ ও কাঁচা পেঁপেঁ খেতে পারেন। পেঁপেঁ হজমশক্তি বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী। এ ছাড়া লাউ পেট ঠাণ্ডা রেখে হজমশক্তি উন্নত করে। এই দুটি সবজিতে প্রচুর জলীয় অংশ ও ফাইবার থাকে। ফলে এই দুটি খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে নিমিষেই।
আরও কিছু অভ্যাস করুন
গরম পানি: ঠাণ্ডা পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। সহনীয় মাত্রার কুসুম গরম পানি পান করুন। এ ছাড়া সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় হবে।
গরম দুধ: রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন। গরম দুধ হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যও পালাবে।
তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন।