যেভাবে এলো আজকের ‘হিমালয়’
ছবি- সংগৃহিত
বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ‘এভারেস্ট’। এটি অনেকেই জানে। হিমালয় পর্বতমালায় এই এভারেস্ট রয়েছে। হিমালয়ের সঙ্গেই রয়েছে ‘হিন্দুকুশ’ ও ‘কারাকোরাম’ পর্বতমালা। সব মিলিয়ে পুরো পর্বতমালা একসঙ্গে দেখলে অনেকটা অর্ধচন্দ্র বা বিশাল অর্ধবৃত্তাকার আকৃতি মনে হবে।
হিমালয় ও চারপাশ
⇒ হিমালয় পর্বতমালা দক্ষিণ এশিয়ার সমভূমিকে তিব্বতীয় মালভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। হিমালয়ে ৭ হাজার ২০০ মিটারের (২৩,৬০০ ফুট) বেশি উচ্চতার ১০০টিরও বেশি পর্বতশৃঙ্গ রয়েছে।
⇒ চীন, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান ও ভুটানের সীমানায় ঘেরা হিমালয় পর্বতমালা। যদিও কাশ্মীর অঞ্চলে এই পর্বতমালার সার্বভৌমত্ব নিয়ে ভারত, পাকিস্তান এবং চীনের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে।
⇒ হিমালয় পর্বতমালার উত্তর-পশ্চিমে কারাকোরাম এবং হিন্দুকুশ পর্বতমালা। এর উত্তরে তিব্বতীয় মালভূমি এবং দক্ষিণে সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমি রয়েছে। সিন্ধু, গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্র হিমালয় থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
⇒ হিমালয়ের ভারতীয় দিকে ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ শৃঙ্গ হিন্দু ধর্মীয় রীতিতেও প্রভাব বিস্তার করেছে। এছাড়া গাংখার পেনসুম, মচ্ছাপুচ্ছরে ও নন্দা দেবী পর্বতশৃঙ্গ বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মে গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
⇒ তবে চীনের স্বায়ত্তশাসিত ‘তিব্বতীয় ট্রান্সহিমালয়’ এর কৈলাসশৃঙ্গে পর্বতারোহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। চীন সরকার এই নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে।
যেভাবে হিমালয়ের উত্থান
ভূতত্ত্ববিদ ও গবেষকরা বলছেন, ভারতীয় টেকটনিক প্লেট ইউরেশীয় প্লেটের নিচে অধোগমন ঘটে। এর ফলে ভূমি উত্থিত হয়ে হিমালয় পর্বতমালার সৃষ্টি হয়। হিমালয় পর্বতমালা ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার (১,৫০০ মাইল) দীর্ঘ একটি দুর্গম পথ ধরে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম থেকে পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বিস্তৃত।
পর্বতমালাটির প্রস্থ পশ্চিমে ৩৫০ কিলোমিটার (২২০ মাইল) থেকে পূর্বে ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) পর্যন্ত।