• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

ফররুখ আহমদ: যার কবিতায় মুসলমানের মন দোলে

ফররুখ আহমদ:  যার কবিতায় মুসলমানের মন দোলে

ফাইল ছবি

ফিচার ডেস্ক

কালজয়ী ‘পাঞ্জেরী’ কবিতার জনক ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ ফররুখ আহমদ। বাঙালি বাংলাদেশি কবি তিনি। তাঁর অসংখ্য কবিতায় ইসলামী রীতি ও মুসলিম সমাজের চিত্র ফুটে উঠেছে। মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণের অনুপ্রেরণা হিসেবে ফররুখ আহমদ আজও অমর হয়ে আছেন।

জন্ম ও ব্যক্তিগত জীবন

প্রকৃত নাম সৈয়দ ফররুখ আহমদ। তিনি ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ফররুখ আহমদের বাবা সৈয়দ হাতেম আলী বৃটিশ পুলিশের কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর মায়ের নাম রওশন আখতার।

ফররুখ আহমদ ১৯৪২ সালে সৈয়দা তৈয়বা খাতুনকে (লিলি) বিয়ে করেন। নিজের বিয়ে উপলক্ষে ফররুখ আহমদ ‘উপহার’ নামক কবিতা লিখেছিলেন। যা সওগাত পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল।

ফররুখ আহমদের এগারো ছেলে-মেয়ে। তারা হলেন- সৈয়দা শামারুখ বানু, সৈয়দা লালারুখ বানু, সৈয়দ আবদুল্লাহল মাহমুদ, সৈয়দ আবদুল্লাহেল মাসুদ, সৈয়দ মনজুরে এলাহি, সৈয়দা ইয়াসমিন বানু, সৈয়দ মুহম্মদ আখতারুজ্জামান (আহমদ আখতার), সৈয়দ মুহম্মদ ওয়হিদুজ্জামান, সৈয়দ মুখলিসুর রহমান, সৈয়দ খলিলুর রহমান ও সৈয়দ মুহম্মদ আবদুহু। ১৯৭৪ সালের ১৯ অক্টোবরের এক সন্ধায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবন

১৯৩৭ সালে খুলনা জিলা স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন। কলকাতার রিপন কলেজ থেকে ১৯৩৯ সালে ইন্টারমিডিয়েট ও স্কটিশ চার্চ কলেজে দর্শন এবং ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি বামপন্থী রাজনীতিতে ঝুঁকে পড়লেও চল্লিশের দশকে তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসে পরিবর্তন আসে। তিনি ভারত বিভাগ তথা পাকিস্তান আন্দোলন সমর্থন করেন।

ফররুখ আহমদের কর্মজীবন শুরু হয় কলকাতায়। ১৯৪৫ সালে তিনি মাসিক মোহাম্মদীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তবে শেষ পর্যন্ত স্থায়ীভাবে চাকরি করেন ঢাকা বেতারে। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে ফররুখ আহমদ কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে এসে ঢাকা বেতারে যোগ দেন।

সাহিত্যকর্ম ও অর্জন

সাত সাগরের মাঝি (কাব্যগ্রন্থ), সিরাজাম মুনীরা (কাব্যগ্রন্থ), নৌফেল ও হাতেম (কাব্যগ্রন্থ), পাখির বাসা (শিশুতোষ), হরফের ছড়া (শিশুতোষ), চাঁদের আসর (শিশুতোষ), ছড়ার আসর (শিশুতোষ) ও ফুলের জলসা (শিশুতোষ)।

১৯৬০ সালে ফররুখ আহমদ বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট পদক প্রাইড অব পারফরমেন্স এবং ১৯৬৬ সালে পান আদমজী সাহিত্য পুরস্কার। একই বছর তিনি ইউনেস্কো পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৭৭ ও ১৯৮০ সালে তাকে যথাক্রমে মরণোত্তর একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:৪৫পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।