ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি কমাতে ফেরিঘাটে অভিনব উদ্যোগ
ফাইল ছবি
ঈদে ঘরমুখো ও ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীতের ভোগান্তি কমাতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ। এ নৌ-রুটে ঈদের আগে ও পরে ৫ দিন করে মোট ১০ দিন মালবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পণ্য ও কাঁচামাল বোঝাই ট্রাক সাভাবিক নিয়মে পারাপার করা হবে।
এর আগে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদ যাত্রা বিষয়ক সমন্বয় সভায় ঈদের আগে ৩ দিন ও পরে ৩ দিন ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে যাত্রীদের কথা চিন্তা করে ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখার সময় বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে ঈদের এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও দৌলতদিয়া ঘাটে বেড়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ। সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই ফেরিঘাটের পাটুরিয়া প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। নদী পারের অপেক্ষায় মহাসড়কে আটকে রয়েছে হাজার হাজার যানবাহন।
অপরদিকে সোমবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার জিরো পয়েন্ট থেকে যানবাহনের সারি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাজার পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার এলাকা ছেড়ে গেছে। এতে প্রায় সহস্রাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় মহাসড়কে আটকে রয়েছে।
কয়েকজন ট্রাকচালক গণমাধ্যমকে জানান, দুই দিন ধরে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ফেরির জন্য অপেক্ষা করলেও তারা ফেরির দেখা পাননি। ঈদের এক সপ্তাহ বাকি থাকতেই ট্রাকগুলো জ্যামে পড়েছে। চালকদের ধারণা ঈদের আগে আর এসব ট্রাক নদী পার হতে পারবে না হয়তো।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা ও ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের কথা ভেবে আমরা ১০ দিন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে জরুরি কাঁচামাল বোঝাই ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এ নৌ রুটে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। বাকি দুটি ফেরি মেরামতের জন্য ভাসমান কারখানায় রয়েছে।
