• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘সর্বোত্তম সাংবাদিকতা হলো নীতিভিত্তিক সাংবাদিকতা’

‘সর্বোত্তম সাংবাদিকতা হলো নীতিভিত্তিক সাংবাদিকতা’

প্রতিকী ছবি

উক্তি ডেস্ক

সাংবাদিকতা এক চ্যালেঞ্জিং পেশা। নীতি, নৈতিকতা, ধৈর্য, চিন্তাশীলতা, সৃজনশীলতা,সহিষ্ণুতা ও কঠিন পরিস্থিতি উত্তোরণের মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিরাই সাংবাদিকতায় টিকতে পারেন। সাংবাদিক হওয়া সহজ, কিন্তু নীতিভিত্তিক আদর্শ সাংবাদিক হওয়া কঠিন। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সাংবাদিকতার জয়জয়কার চলছে। ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারে পেইজ খুলে সাংবাদিকতার খবরও পাওয়া যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু প্রকৃত সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার জৌলূস কমছে।

বিখ্যাত আফ্রিকান রাজনীতিক হেইলেমারিয়াম দেসালেন বলেছেন- ‘সর্বোত্তম সাংবাদিকতা হলো নীতিভিত্তিক সাংবাদিকতা’। বিখ্যাত এই রাজনীতিকের ভাষায়, সাংবাদিকতা অনেকেই করে। যেকোনো ভাবেই চাইলে সাংবাদিক হওয়া যায়। কিন্তু নীতিভিত্তক সাংবাদিক হওয়া অত্যন্ত কঠিনতর কাজ। আর এই কাজটি যিনি সফলভাবে করতে সমর্থ্য হন, তিনিই সর্বোত্তম সাংবাদিক।

সাংবাদিকতার কিছু নীতি আছে। এই নীতিগুলো জনকল্যাণমূখী ও সমাজের অন্ধকার দূর করে আলোকিত করার জন্য যথেষ্ট। একজন সাংবাদিক একটি সমাজের দর্পন। সাংবাদিকের কলমের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র্র্র্র্রের যাবতীয় ভালো-মন্দ দিক উঠে আসে। সমাজ পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা চিরন্তন। নীতিভিত্তিক সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠা ও প্রচলনের মাধ্যমে সহজেই রাষ্ট্র ও সমাজের সকল অন্ধকার দূর করা যায়।

তবে বর্তমান বিশ্বে নীতিহীন সাংবাদিকতার ছড়াছড়ি। বিশেষ মহলের হয়ে সত্যকে চেপে রেখে মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রচারের হিড়িক পড়েছে। সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ব্যক্তিরা অর্থের প্রভাবে এখন সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে। আর এই দূরভিসন্ধি সফল হতে পারে কেবলই নীতিহীন সাংবাদিকের তোষামোদি দ্বারা। নীতিহীন সাংবাদিক তোষামোদে ব্যস্ত থাকেন। ক্ষমতাধরের কাছাকাছি পৌছাতে নীতিহীন সাংবাদিকরা শুধু প্রশংসাই করেন। এই শ্রেণির মানুষই সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার আদর্শগত ভিত্তিতে আঘাত করে চলেছে।

০৪ জুলাই ২০২২, ০১:৪৫পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।