• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘ব্যস্ততম সাহিত্যের নাম সাংবাদিকতা’

‘ব্যস্ততম সাহিত্যের নাম সাংবাদিকতা’

প্রতিকী ছবি

উক্তি ডেস্ক

অনন্য এক পেশা সাংবাদিকতা। সংবাদমাধ্যম সমাজের দর্পন। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয় গণমাধ্যমকে। সংবাদমাধ্যম বা গণমাধ্যমের বিকশিত ধারা এখন আরো বিকশিত। সাংবাদিকতায় লেগেছে তথ্যপ্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া। কাগজ-কলমের আদি সংবাদিকতা এখন খুব একটা চোখে পড়ে না। ক্রমেই সাংবাদিকতা একটি করপোরেট পেশার অংশ হতে চলেছে। কিন্তু এক সময় এই সাংবাদিকতা ছিল সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে। সাহিত্যের বড় বড় লেখক, কবি ও প্রাবন্ধিকদের হাতেই বিখ্যাত সব সংবাদমাধ্যম তৈরি হয়েছে।

বিখ্যাত ইংরেজ কবি ম্যাথিউ আরনল্ড বলেছেন-‘ব্যস্ততম সাহিত্যের নাম সাংবাদিকতা’। বিখ্যাত এই সাহিত্যিক মূলত বুঝাতে চেয়েছেন, সাহিত্যের অন্যতম একটি রূপ সংবাদপত্র। সাহিত্যিকরা দীর্ঘ সময় নিয়ে সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেন।

কিন্তু সাংবাদিক অল্প সময়ে পত্রিকার পাতায় নিজের আবেগ, তথ্যের ভিত্তি, সত্য সাহিত্য ও কল্যাণমূলক অভিপ্রায় তুলে ধরেন। যা সত্যিই অসাধারণ ও কষ্টসাধ্য সাহিত্যের অংশ বটে। সাংবাদিকতা সৃজনশীল একটি কর্ম। এই কর্মে অর্থের সংস্থান উপচে পড়ে না। কিন্তু যারা এই পেশায় নিয়োজিত হন, সীমিত সময় ও বিষয়বস্তুর মাঝেই তাদের বিস্তর ধ্যান-জ্ঞানের সুপ্ত দর্শন প্রকাশ পায়।

আধুনিক এই যুগে মানুষ দ্রুত তথ্য জানতে চায়। মানুষ খবর জানতে চায়। মানুষ তার সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি, ক্রীড়া, বিনোদন, সাহিত্য, বাণিজ্য, রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের খবরে নজর রাখতে চায়। আর কোটি মানুষের এই ভিন্ন ভিন্ন চাওয়াগুলো দ্রুততার সঙ্গে পুরণ করেন সাংবাদিক। তাকে কখনো হতে হয় ক্রীড়া বিশ্লেষক, কখনো পুরোদস্তুর রাজনীতিক। পাঠকের প্রয়োজনে মনুষ্য চাওয়া-পাওয়ার নানা প্রান্তে সাংবাদিকের বিচরণ।

সাংবাদিকতার এই চতুর্মূখী প্রতিভা প্রকাশ এক ‘অনন্য সাহিত্য’। সাংবাদিকতার মাধ্যমেই সমাজের প্রকৃত চিত্র ফুটে ওঠে। সাংবাদিকতা এমন এক সাহিত্য, যে সাহিত্যের মাঝেই সুখ, দুঃখ, ইতিহাস, ব্যর্থতা, অর্জন, বর্জনের নানা দিক সমান ভাবে প্রকাশিত হয়। এই কঠিন সাহিত্যকর্মের মাঝে টিকে থাকা সবার দ্বারা সম্ভব নয়। কেবল সাংবাদিকই পারেন সেই অসাধ্য সাহিত্য সৃজন করতে।

০৩ জুলাই ২০২২, ০১:২৩পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।