• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

‘বক্তার স্বরভঙ্গিই বক্তৃতার সার’

‘বক্তার স্বরভঙ্গিই বক্তৃতার সার’

প্রতিকী ছবি

উক্তি ডেস্ক

মানুষের মনের গভীরে অনেক কিছু লুকিয়ে থাকে। হৃদয়ে লুকানো বিষয়গুলো একেকজন একেক ভাবে প্রকাশ করে। কেউ কর্মের মাধ্যমে নিজের অন্তরের চাওয়া-পাওয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। আবার কেউ আচরণ কিংবা লেখালেখির মাধ্যমে হৃদয়ের অব্যক্ত কথা জানিয়ে দেন। তবে মানুষ তার অন্তরের কথা সবচেয়ে সহজে প্রকাশ করে ‘বক্তৃতা’য় বা কথা বলার মাধ্যমে।

খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন- ‘বক্তার স্বরভঙ্গিই বক্তৃতার সার’। এই উক্তিটির তাৎপর্য বেশ গভীর।

সমাজ সংস্কারক শরৎচন্দ্র মূলত বুঝাতে চেয়েছেন, একজন ব্যক্তি প্রকৃত পক্ষে কি চান, তা কেবল তার বাচনভঙ্গিতেই বেশি প্রকাশ পায়। যিনি কথা বলেন, তার কথা বলার ভঙ্গির মাঝেই ফুটে ওঠে বক্তার হৃদয়ের আকাঙ্খার চিত্র।

প্রত্যেকেই তার কথা বলার ধরনের মাঝেই নিজের দাবি বা চাহিদা প্রকাশ করে। এটাই বোধহয় হৃদয়ের দাবি প্রকাশের সবচেয়ে সহজ ও বহুল ব্যবহৃত ধারা। বক্তার কথা বলার ধরনই বলে দেয়, তিনি কি ধরনের বিষয় নিয়ে কথা বলতে চলেছেন।

বক্তৃতার মূল আকর্ষণ বক্তারা প্রথমেই হাজির করেন। মনের ভাব প্রকাশ করতে কিংবা অন্যের মনের ভাব বুঝতে হলে বক্তার প্রথম প্রকাশভঙ্গিই যথেষ্ট। বুদ্ধিমানরা বক্তার প্রথম বাচনভঙ্গির দিকে বেশি খেয়াল রাখেন, ফলে সহজেই বক্তার সম্পূর্ণ বক্তব্যের সারসংক্ষেপ বুঝতে সুবিধা হয়।

২৮ জুন ২০২২, ১০:০৩এএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।