• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

'পল্লীকবি' জসীম উদ্দীন

'পল্লীকবি' জসীম উদ্দীন

ফিচার ডেস্ক

'পল্লীকবি' জসীম উদ্দীন একজন বাঙালি কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক। তিনি আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে লালিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ আধুনিক কবি। পল্লী কবির অমর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে, নকঁশী কাথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, এক পয়সার বাশিঁ, রাখালি, বালুচর প্রভৃতি। তার কবিতা বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তিনি ১০,০০০ এরও বেশি লোক সংগীত সংগ্রহ করেছেন, যার কিছু অংশ তার সংগীত সংকলন জারি গান এবং মুর্শিদা গান এ স্থান পেয়েছে। তিনি বাংলা লোক সাহিত্যের বিশদ ব্যাখ্যা এবং দর্শন খণ্ড আকারেও লিখে গেছেন। তার লেখা অসংখ্য পল্লিগীতি এখনো গ্রাম বাংলার মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। আমার হার কালা করলাম রে, আমায় ভাসাইলি রে, কাজল ভ্রমরা রে ইত্যাদি।

১৯০৩, ১ জানুয়ারি: ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মোহাম্মাদ জসীম উদ্দীন মোল্লা তার পূর্ণ নাম হলেও তিনি জসীম উদ্দীন নামেই পরিচিত।

১৯২১: ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন।

১৯২১: মোসলেম ভারত পত্রিকায় 'মিলন গান' নামে কবির প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়।

১৯২৪: ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

১৯২৫: বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সমসাময়িক বিখ্যাত সাহিত্যপত্রিকা 'কল্লোল' এ প্রকাশিত হয় তার অতুলনীয় সৃষ্টি 'কবর'।

১৯২৭: প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'রাখালি' প্রকাশিত হয় ।

১৯২৮: এই কবিতাটি পাঠ্যপুস্তকে সংযুক্ত করার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাচিত হয়।

১৯২৯: প্রকাশিত হয় অমর কাহিনীকাব্য 'নকশীকাঁথার মাঠ'।

১৯৩১: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমএ পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগ দেন।

১৯৩১ - ১৯৩৭: দীনেশচন্দ্র সেনের সাথে লোক সাহিত্য সংগ্রাহক হিসেবে জসীম উদ্দীন কাজ করেন।

১৯৩৩: তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. দীনেশচন্দ্র সেনের অধীনে রামতনু লাহিড়ী গবেষণা সহকারী পদে যোগ দেন।

১৯৩৮: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।

১৯৪৩: জসীম উদ্দীন মমতাজের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। স্ত্রীকে 'মনিমালা' নামে ডাকতেন কবি।

১৯৪৪: বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে এবং তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগে যোগ দেন। ১৯৬২ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করে গেছেন।

১৯৫৮: জসীম উদ্‌দীন প্রেসিডেন্টের প্রাইড অব পারফরমেন্স পুরস্কার গ্রহণ করেন।

১৯৬১: চাকরি থেকে অবসর নেন কবি।

১৯৬৮: রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মান সূচক ডি লিট উপাধিতে ভূষিত করেন।

১৯৭৬: বাংলাদেশ সরকার একুশে পদক প্রদান করেন।

১৯৭৬, ১৪ মার্চ: কবি জসীম উদ্দীন মৃত্যুবরণ করেন। তার শেষ ইচ্ছা অনুসারে তাকে ফরিদপুর জেলার আম্বিকাপুর গ্রামে তার দাদীর কবরের পাশে দাফন করা হয়।

১৯৭৮: কবি মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, রোয়ার মিডিয়া

 

এবি/এসজে

০১ আগস্ট ২০২১, ১১:৩৩এএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।