• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বৈজ্ঞানিক জগদীশ চন্দ্র বসু

বৈজ্ঞানিক জগদীশ চন্দ্র বসু

ফিচার ডেস্ক

বৈজ্ঞানিক জগদীশ চন্দ্র বসুর অবদান মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। তিনি একাধারে পদার্থবিজ্ঞান এবং উদ্ভিদবিদ্যায় অসামান্য অবদান রেখে নিজের নাম শুধু বাঙালির ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও স্বর্ণাক্ষরে লিখে গিয়েছেন। জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথম মাইক্রোওয়েভ প্রযুক্তির ওপর সফল গবেষণা করেন যার ফলশ্রুতিতে আবিষ্কৃত হয় রেডিও। তাঁর উল্লেখযেযাগ্য আবিষ্কারের মধ্যে রয়েছে মাইক্রোওয়েভ রিসিভার ও ট্রান্সমিটারের উন্নয়ন, এবং ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্র যা দিয়ে গাছের বৃদ্ধি নিখুঁতভাবে পরিমাপ করা যায় । উদ্ভিদের জীবনচক্র তিনি প্রমাণ করেছিলেন।

১৮৫৮, ৩০শে নভেম্বর: ময়মনসিংহে জন্ম জগদীশ চন্দ্র বসুর। এরপর ১১ বছর বয়সে তিনি কলকাতা চলে যান।

১৮৭৫: সেখানে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এন্ট্রাস পাশ করেন।

১৮৭৯: সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন।

১৮৮০: চিকিৎসাবিজ্ঞান পাঠের উদ্দেশ্যে লন্ডনে পাড়ি জমান, কিন্তু অসুস্থতার কারণে বেশিদিন এই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি।

১৮৮৫: জগদীশ চন্দ্র ভারতে ফিরে আসেন। তৎকালীন ভারতের গভর্নর-জেনারেল জর্জ রবিনসন, প্রথম মার্কুইস অব রিপনের অনুরোধে স্যার অ্যালফ্রেড ক্রফট বসুকে প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক নিযুক্ত করেন।

১৮৮৭: ব্রাহ্মসমাজের বিখ্যাত সংস্কারক দুর্গামোহন দাশের কন্যা অবলাকে বিয়ে করেন জগদীশচন্দ্র বসু।

১৮৯৪: তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি এবং কোন তার ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তা প্রেরণে সফলতা পান।

১৮৯৬: মে মাসে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডিএসসি ডিগ্রি প্রদান করে।

১৮৯৬: প্রকাশিত হয় তাঁর লেখা প্রথম সায়েন্স ফিকশান ‘নিরুদ্দেশের কাহিনী’।

১৮৯৯ - ১৯০৭: জীব ও জড় বস্তুর প্রতিক্রিয়ার ওপর গবেষণার কাজ করেছিলেন জগদীশ বসু ।

১৯২৭: জগদীশ চন্দ্র যে গ্যালিলিও-নিউটনের সমকক্ষ বিজ্ঞানী তার স্বীকৃতি দিয়েছিল লন্ডনের ডেইলি এক্সপ্রেস পত্রিকা

১৯৩৭, ২৩শে নভেম্বর: ভারতের ঝাড়খন্ডের গিরিডিতে মারা যান এই বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী। মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে তার আজীবন সঞ্চিত ১৭ লক্ষ টাকার মধ্যে ১৩ লক্ষ টাকা 'বসু বিজ্ঞান মন্দির'কে দান করেন।

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

 

এবি/এসজে

 

 

৩১ জুলাই ২০২১, ০১:৩৪পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।