• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইলা মিত্র

ইলা মিত্র

ফিচার ডেস্ক

ইলা মিত্র একজন বাঙালি মহীয়সী নারী এবং সংগ্রামী কৃষক নেতা। তিনি কৃষকদের জমিদার-জোতদার-মহাজনদের হাত থেকে মুক্তির জন্য ‘তেভাগা আন্দোলন’-এ সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ভোগ করেছেন অমানুষিক নির্যাতন। এই অসামান্য অবদানের জন্য তিনি নাচোলবাসীর হৃদয়ের মণিকোঠায় হয়ে উঠেছিলেন ‘রানীমা’। রাজনীতির পাশাপাশি সাহিত্য চর্চায়ও ছিল তাঁর বিশদ ব্যপ্তি। ‘হিরোশিমার মেয়ে’ গ্রন্থ অনুবাদের জন্য তিনি ‘সোভিয়েত ল্যা- নেহেরু’ পুরস্কার পান। বৃটিশ শাসনবিরোধী দীর্ঘ সংগ্রামী আন্দোলনে সফল নেতৃত্ব দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ভারত সরকার তাঁকে ‘তাম্রপাত্র অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে।

১৯২৫, ১৮ অক্টোবর: কলকাতায় ব্রিটিশ সরকারের বাংলার অ্যাকাউন্টেন্ট জেলারেল নগেন্দ্রনাথ সেনের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ইলা সেন।

১৯৪৪: বেথুন কলেজ হতে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। কৈশোরে তিনি খেলাধুলায় পারদর্শী ছিলেন।

১৯৩৫-৩৮: রাজ্য জুনিয়র অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়ন।

১৯৪০: জাপানে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে প্রথম বাঙালি মেয়ে হিসেবে নির্বাচিত হন। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে অলিম্পিক আসরটি বাতিল হয়ে যায়।

১৯৪৩: হিন্দু কোড বিলের বিরুদ্ধে মহিলা সমিতির একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

১৯৪৫: মালদহের নবাবগঞ্জ থানার রামচন্দ্রপুরহাটের জমিদার মহিমচন্দ্র মিত্রের ছোট ছেলে রমেন মিত্রের সাথে বিয়ে হয়। স্বামীর উৎসাহ ও সাহচার্যে তিনি কৃষক অধিকার আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করেন।

১৯৪৬ - ১৯৫০: পর্যন্ত রাজশাহীর নবাবগঞ্জ অঞ্চলে তেভাগা আন্দোলনে নেতৃত্ব দান করেন ইলা মিত্র।

১৯৫০, ৭ জানুয়ারি: ইলা মিত্র রহনপুর স্টেশনের অদূরে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। নবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলে থাকা পর্যন্ত অবর্ণনীয় পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি।

১৯৫৪: চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গে চলে যান। সুস্থ হয়ে সেখানেই থেকে যান। কলকাতা সিটি কলেজে বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন।

১৯৬২-১৯৭৮: চারবার বিধান সভার সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৮৯: তিনি শিক্ষকতা থেকে অবসর নেন।

২০০২, ১৩ অক্টোবর: উপমহাদেশের নারী জাগরণ ও কৃষক আন্দোলনের এই কিংবদন্তি নেত্রী ৭৭ বছর বয়সে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

 

এবি/এসজে

 

 

৩১ জুলাই ২০২১, ১২:১৪পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।