• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাহানারা ইমাম

জাহানারা ইমাম

ফিচার ডেস্ক

জাহানারা ইমাম ছিলেন একজন বাংলাদেশী লেখিকা, কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী। তিনি বাংলাদেশে শহীদ জননী হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ একাত্তরের দিনগুলি। একাত্তরে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র শাফী ইমাম রুমী দেশের মুক্তিসংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবংপাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ফলে মৃত্যুবরণ করেন। রুমীর শহীদ হওয়ার সূত্রেই তিনি শহীদ জননীর মযার্দায় ভূষিত হন৷ স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে জাহানারা ইমাম লেখালেখিতে ব্যস্ত সময় কাটান।

১৯২৯, ৩ মে: পশ্চিমবঙ্গের মুশির্দাবাদে জন্মগ্রহন করেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।

১৯৪২: জাহানারা ইমাম মাধ্যমিক পাস করেন।

১৯৬০: বি.এড ডিগ্রি অর্জন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

১৯৬৪: যুক্তরাষ্ট্র থেকে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন ডিগ্রি অর্জন করেন ।

১৯৬৫: যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে বাংলায় এম.এ পাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

১৯৪৮ - ১৯৪৯: ময়মনসিংহ শহরে বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

১৯৫২-১৯৬০: ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬২-১৯৬৬: বুলবুল একাডেমি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬৬‌-১৯৬৮ ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রভাষক হিসাবে তার কর্মজীবন অতিবাহিত হয়। কিছুদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটেও খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে কাজ করেন।

১৯৭১, ৬ মে: তার জ্যেষ্ঠ পুত্র শফি ইমাম রুমী দেশের মুক্তিসংগ্রামে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

১৯৭১, ২৯ আগস্ট: পাকিস্তানি সৈন্যরা জাহানারা ইমামের বাড়ি ঘেরাও করে। মা জাহানারা ইমাম ও সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধা রুমী হানাদারদের হাতে ধরা পড়ে।

১৯৮২: তিনি মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। প্রতি বছর একবার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হতো তাকে।

১৯৯২, ১৯ জানুয়ারি: জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয়। তিনি হন এর আহ্বায়ক।

১৯৯২, ১১ ফেব্রুয়ারি: পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী প্রতিরোধ মঞ্চ, ১৪টি ছাত্র সংগঠন, প্রধান প্রধান রাজনৈতিক জোট, শ্রমিক-কৃষক-নারী এবং সাংস্কৃতিক জোটসহ ৭০টি সংগঠনের সমন্বয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠিত হয়।

১৯৯২, ২৬ মার্চ এই কমিটি ১৯৭১-এর স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে গণ-আদালত গড়ে তোলেন। গণ-আদালত ছিল স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের অপকর্মের বিরুদ্ধে একটি প্রতীকী প্রতিবাদ।

১৯৯৪ সালের ২৬ জুন আমেরিকার মিশিগান স্টেটের ডেট্রয়েটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর জীবনাবসান ঘটে। সেখান থেকে ঢাকায় এনে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

 

তথ্যসুত্র: উইকিপিডিয়া

 

এবি/এসজে

 

২৯ জুলাই ২০২১, ০৪:০৫পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।