• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তালাক না দিয়েই বিয়ে: ফেঁসে যাচ্ছেন নাসির-তামিমা

তালাক না দিয়েই বিয়ে: ফেঁসে যাচ্ছেন নাসির-তামিমা

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবশেষে ফেঁসে যাচ্ছেন ক্রিকেট তারকা নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি। প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়েই তামিমা তাম্মি বিয়ে করেছেন নাসির হোসেনকে। যা আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এধরণের বিয়ে আইনত অবৈধ। নাসির-তামিমার বিয়ে নিয়ে প্রথম থেকে সমালোচনা হলেও এবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সংস্থাটির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, তামিমা তাম্মি তার প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়েই নাসিরের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এটি অবৈধ বিয়ে।

বৃহস্পতিবার পিবিআই এ তথ্য আদালতের নজরে আনে। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তামিমা সুলতানা তাম্মি ও নাসির হোসেনকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী তামিমার আগের স্বামী রাকিবের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করা হয়। আদালত নথি পর্যালোচনার পর আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তালাকনামা ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাকিব হাসানের সঙ্গে ১ নম্বর আসামি তামিমা সুলতানার ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী ৩ লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে এবং রেজিস্ট্রি হয়। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। তাদের তোবা হাসান নামে এক মেয়ে রয়েছে। যার বর্তমান বয়স ৮ বছর।

এদিকে মামলা সূত্রে জানা গেছে, তামিমা তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। তিনি সৌদি এয়ারলাইন্সে কর্মরত রয়েছেন। চাকরির সুবাদে তিনি ২০২০ সালের ১০ মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন। মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে সেখানেই তিনি অবস্থান করেন। ওই সময় ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে স্বামী রাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তাম্মি।

মামলায় বলা হয়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার সঙ্গে ২ নং আসামির (ক্রিকেটার নাসির) কথিত বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা বাদীর নজরে আসে। বাদী এই ধরনের ছবি দেখে হতবাক হয়ে যান। পরে পত্রপত্রিকা মারফত তিনি নাসির হোসেন ও তামিমার বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তামিমা বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় নাসিরের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। নাসির বাদীকে ফোন করে জানান যে সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত এবং তার নিকট তামিমা আছেন। বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় তামিমা ও নাসিরের পরস্পর বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন বিরুদ্ধ। আসামির সঙ্গে তিনি অবৈধ বিয়ের সম্পর্ক দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, যা নিকৃষ্ট ব্যভিচার।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিদের এরূপ অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে বাদী ও তার শিশু কন্যা মারাত্মকভাবে মানসিক বিপর্যস্ত ও মানহানি হয়েছে, যা বাদীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

 

এবি/এসএন

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:০২পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।