• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঝাঁঝেও যেমন গুণেও তেমন, পুষ্টিভরা ‘কাঁচা মরিচ’

ঝাঁঝেও যেমন গুণেও তেমন, পুষ্টিভরা ‘কাঁচা মরিচ’

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

ভোজনরসিক বাঙালির পাতে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ যেন থাকাই চাই-ই। অনেকে আবার পেঁয়াজ না খেলে মচমচিয়ে চিবিয়ে কাঁচা মরিচ খেতে ভালোবাসেন। বাসাবাড়ি কিংবা হোটেল রেস্তোরা, সবখানেই খাবারের পাশাপাশি কাঁচা মরিচ দেয়া হয়। কারণ এটি যেন বাঙালির খাদ্য তালিকায় অবিচ্ছেদ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে।

আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ কাঁচা মরিচ খেতে ভালোবাসেন। এটি যে শুধু তরকারিতেই খাওয়া হয়, তাও কিন্তু না। ভর্তা, ভাজি কিংবা শুকনো মসলাদার খাবারের স্বাদ বাড়াতে কাঁচা মরিচের জুড়ি মেলা ভার।

প্রিয় পাঠক, কাঁচা মরিচে ঝাঁঝ আছে যেমন, এতে পুষ্টিও আছে তেমন। তাই আর দেরি না করে চলুন দেখে নিই, কি আছে কাঁচা মরিচে

পরিচয়

মরিচ বা লংকা এক প্রকারের ফল। যা মসলা হিসাবে ঝাল স্বাদের জন্য রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এটি ক্যাপসিকাম প্রজাতির একটি ফল। আমাদের দেশে এটিকে মরিচ বলা হয়। মসলা হিসেবেই এটির ব্যবহার বেশি হয়। মরিচের আদি নিবাস আমেরিকা মহাদেশে। তবে এটি এখন পৃথিবীর সকল প্রান্তে পাওয়া যায়।

পুষ্টিগুণ

উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত নিবন্ধে পুষ্টিবিদরা বলছেন, কাঁচা মরিচ হলো ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এর দারুণ এক ভান্ডার। এতে আরও আছে ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, জিংক, কপার, ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা খনিজ উপাদান।

গবেষকরা বলছেন, কাঁচা মরিচের ভিটামিন সি তাপ, অতিরিক্ত আলো ও বাতাসের কারণে একটু একটু করে কমে যায়। তাই এটি কাঁচা খাওয়ায় উত্তম।

উপকারিতা

বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিস ও উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, কাঁচা মরিচ

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে : কাঁচা মরিচে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। এটি দেহের মেটাবলিজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে : সব ধরনের মরিচে আছে ক্যাপসেইসিন নামের একটি উপাদান। এই ক্যাপসেইসিন প্রদাহ কমায়। এছাড়া এটি বাতব্যথা নিরাময়েও কার্যকর ভূমিকা রাখে। এতে রয়েছে সালফার যৌগ ও ক্যারোটেনয়েড লাইকোপেন, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় : এতে রয়েছে লাইকোপেন। যা কার্ডিওভাস্কুলারের নানা জটিলতা দূর করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে : কাঁচা মরিচে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি। এছাড়া পর্যাপ্ত বিটা ক্যারোটিন থাকায় এটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে : অ্যাক্টিভেটিং থার্মোজেনেসিস উপাদানে সমৃদ্ধ কাঁচা মরিচ হজমশক্তি উন্নত করে। ফলে ওজন কমাতে এটি বেশ ভূমিকা রাখে। এটি দেহের অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরাতেও অত্যন্ত কার্যকরী।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : কাঁচা মরিচে থাকা ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে। এছাড়া সাধারণ সংক্রমণ রোধেও এটি দারুণ কার্যকরী।

ত্বক পরিষ্কার রাখে : চামড়া ও মুখের ত্বক পরিষ্কার রাখতে কাঁচা মরিচের জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে দেবে উজ্জ্বল ও প্রাণোবন্ত ত্বক।

হাড় মজবুত রাখে : এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা দেহের কোলাজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ফলে হাড়ের সন্ধি পরিশোধিত হয়ে শক্তি বৃদ্ধি পায়। এতে করে হাড় মজবুত হয়।

ব্যথা নিরাময় করে : দীর্ঘদিনের ব্যথা দূর করতে চাইলে খাবার তালিকায় বাড়তি হিসেবে কাঁচা মরিচ রাখুন। এটি ব্যথা নিরাময়ে অভাবনীয় অবদান রাখতে পারে।

তথ্যসূত্র : কৃষি তথ্য সার্ভিস (বিডি), উইকিপিডিয়া ও প্রথম আলো

 

এবি/এসএন/আরএ

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৮:২১পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।