জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবর
জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবর ভারতবর্ষের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক। পৃথিবীর ইতিহাস এ মহান শাসকদের অন্যতম মহামতি আকবর নামেও পরিচিত। তিনি মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট।
১৫৪২, ২৩ নভেম্বর: আকবর জন্মগ্রহণ করেন।
১৫৫৬: মাত্র ১৪ বছর বয়সে ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন।
১৫৬০: বৈরাম খাকে সরিয়ে আকবর নিজে সব ক্ষমতা দখল করেন। আকবর ভারতবর্ষ ও আফগানিস্তানে তার সাম্রাজ্য বিস্তার চালিয়ে যান।
১৫৬২: আকবর এক আইন জারি করে হিন্দু যুদ্ধ বন্দীদের ক্রীতদাস বানানোর আইন বন্ধ করে দেন।
১৫৬৩: আকবর হিন্দুদের উপর থেকে জিজিয়া কর তুলে দেওয়া এবং দাস প্রথা ও সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করে বিধবা বিবাহ প্রথা চালু করে শ্রেষ্ঠ শাসকের পরিচয় দিয়েছিলেন।
১৫৭৫: ফতেপুর সিক্রিতে - ইবাদৎখানা নামে মুঘল সম্রাট আকবর কতৃক একটি ধর্মালোচনা সভা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৫৭৯, ২ সেপ্টেম্বর: সম্রাট নিজেকে “ইমাম-ই-আদিল” বা ইসলামিক আইনের চূড়ান্ত ব্যাখ্যাকার বলে ঘোষণা করেন। এটিই মাজহার নামে খ্যাত।
১৫৮২: সম্রাট বিভিন্ন কারণে ইবাদৎখানা বন্ধ করে দেন।
১৫৮২: জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে মুঘল সম্রাট আকবর একেশ্বরবাদী ধর্মমতের প্রবর্তন করেন। তার নাম “দীন-ই-ইলাহী” এর অর্থ হল দৈবাদেশ– যেখানে সবধর্মের সার কথা বলা হয়েছে।
১৫৯৪ - ১৫৯৮: আকবরের সময় প্রথম দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।
১৬০৫, ২৭ অক্টোবর: মধ্যরাতে আমাশয়ে আক্রান্ত হয়ে মুঘল সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক আকবর মৃত্যু বরণ করেন ফতেপুর সিক্রিতে(আগ্রা)।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, https://www.bidrohi.in/akbor-biography/
এবি/এসজে