• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ারেন এডওয়ার্ড বাফেট

ওয়ারেন এডওয়ার্ড বাফেট

ফিচার ডেস্ক

ওয়ারেন এডওয়ার্ড বাফেট একজন মার্কিন ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং জনহিতৈষী ব্যক্তি। তাকে বিংশ শতকের সবচেয়ে সফল বিনিয়োগকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাফেট বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী। তিনি ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। ২০১১ সালে বাফেট বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি ছিলেন। ২০১২ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি ঘোষণা করে।

১৯৩০: ওয়ারেন বাফেট নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের ওমাহাতে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৪৭: বাফেট ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়াতে ভর্তি হন।

১৯৫০: বাফেট ২০ বছর বয়সে ওমাহাতে সিঙ্কলেয়ার টেক্সাকো নামের একটি গ্যাস স্টেশন ক্রয় করেন। কিন্তু এতে বাফেট সফল হতে পারেননি।

১৯৫১: তিনি কলাম্বিয়া বিজনেস স্কুল থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকত্তোর হন।

১৯৫২: তিনি সুসান থম্পসনকে বিয়ে করেন।

১৯৫৪: বেঞ্জামিন গ্রাহামের অংশীদারে তিনি চাকরি করেন। এসময় তার প্রাথমিক বেতন ১২০০০ মার্কিন ডলার।

১৯৫৬: বেঞ্জামিন গ্রাহাম অবসর নেন এবং তার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেন। এসময় বাফেটের ব্যক্তিগত সঞ্চয় ছিল ১৭৪০০০ মার্কিন ডলারেরও বেশি। এই অর্থ দিয়ে তিনি বাফেট পার্টনারশিপ লিমিটেড নামে ওমাহাতে তার প্রথম প্রতিষ্ঠান শুরু করেন।

১৯৫৭: তার তিনটা অংশীদার ব্যবসা চলছিল। এসময় তিনি ওমাহাতে ৩১৫০০ ডলারে একটি বাড়ি ক্রয় করেন।

১৯৬০: বাফেটের সাতটা অংশীদার ছিল।

১৯৬২: বাফেটমিলিওনিয়ারে পরিনত হয়। তার অংশীদার ব্যবসায় ৭১৭৮৫০০ ডলার অতিরিক্ত অর্থ ছিল, যার মধ্যে তার নিজস্ব পরিমাণ ছিল ১০২৫০০০ ডলারেরও বেশি।

১৯৭০: বর্তমান অবধি বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ইনকর্পোরেটেড-এ চাকরি করছেন। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী এবং চেয়ারম্যান পদে কর্মরত আছেন।

১৯৭৩: বাফেটওয়াশিংটন পোস্ট কোম্পানির শেয়ার ক্রয় শুরু করেন।

১৯৭৭: বার্কশায়ার কোম্পানি ৩২.৫ মিলিয়ন ডলারে বাফেলো ইভিনিং নিউজ কোম্পানিকে কিনে নেয়।

১৯৮৭: বার্কশায়ার সলোমন ইনকর্পোরেটেডের ১২ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়, যা এক কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ার গ্রহীতায় পরিণত করে এবং বাফেট এর ডিরেক্টর হয়।

১৯৮৮: বাফেট কোকা-কোলা কোম্পানির শেয়ারক্রয় শুরু করেন। তিনি ক্রমেই কোম্পানিটির ৭ শতাংশ শেয়ার ক্রয় করেন। এতে তিনি ১.০২বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন।

১৯৮৯: বাফেট ব্যক্তিগত জেট বিমান ক্রয়ে প্রায় ৬.৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিলেন। তিনি এর নাম দিয়েছিলেন 'ইন ডিফেন্সিবল্‌'।

১৯৯৮: তিনি বীমা কোম্পানি জেনরি কিনে নেন।

২০০২: বাফেট এআইজি বীমা কোম্পানির গ্রিনবার্গের সাথে পুনর্বীমা প্রদান প্রসঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েন।

২০০২: বাফেট একটা চুক্তিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হন যাতে অন্যান্য মুদ্রায় বিনিমিয়ে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার মার্কিন ডলার সরবরাহ করবেন। এপ্রিল নাগাদ, এই চুক্তির মাধ্যমে তার মোট অর্জন ছিল ২ বিলিয়ন ডলারের উপরে।

২০০৫: মার্চ ১৫, এআইজি-এর বোর্ড গ্রিনবার্গকে চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করে।

২০০৬, ৯ ফেব্রুয়ারি: এ এআইজি এবং নিউ ইয়র্ক রাজ্য এটর্নি জেনারেল কার্যালয় একটি চুক্তিতে সম্মত হয় যাতে এআইজি ১.৬ বিলিয়ন ডলার জরিমানা দিবে।

২০০৬: ছিয়াত্তরতম জন্মদিনে বাফেট তার দীর্ঘদিনের পরিচিত অ্যাসট্রিড ম্যাঙ্কসকে বিয়ে করেন।

২০০৮: বাফেট বিল গেটসকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হন। ফোর্বসের মতে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬২ বিলিয়ন ডলার ও ইয়াহুর মতে ৫৮ বিলিয়ন ডলার।

২০১১: নভেম্বরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে, আট মাস ধরে বাফেট আইবিএম কোম্পানির ৬৪ মিলিয়ন শেয়ার ক্রয় করেছেন, যার মোট মূল্য প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। এই অনাকাঙ্খিত বিনিয়োগ আইবিএম কোম্পানিতে তার মালিকানা ৫.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে।

২০১২: ওয়ারেন বাফেট মিডিয়া জেনারেল কোম্পানির স্বত্ত কিনে নেয়।

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

এবি/এসজে

 

২৩ আগস্ট ২০২১, ০৬:৩২পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।