• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জন এফ কেনেডি

জন এফ কেনেডি

ফিচার ডেস্ক

জন ফিট্‌জেরাল্ড কেনেডি বা জন এফ. কেনেডি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম রাষ্ট্রপতি। তিনি JFK নামেও পরিচিত। খুব কাছ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধপূর্ব ইউরোপকে দেখতে পেয়ে তিনি বিশ্ব রাজনীতির ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। আমেরিকার দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম প্রেসিডেন্ট, বিংশ শতাব্দীতে জন্ম নেওয়া প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং সর্বকনিষ্ঠ নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি একমাত্র আমেরিকান প্রেসিডেন্ট, যিনি পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছেন।

১৯১৭, ২৯মে: জন এফ কেনেডি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শহর ম্যাসাচুসেট্স এর ব্রুকলীনের এক বিখ্যাত ক্যাথলিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৪০: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগদানের উদ্দেশে সেনাবাহিনীতে যোগদান করার সিদ্ধান্ত নেন কেনেডি, কিন্তু তাকে শারীরিকভাবে 'আনফিট' ঘোষণা করা হয়।

১৯৪১: তিনি সেনাবাহিনীতে সুযোগ পেয়ে যান। যুদ্ধে কেনেডি অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন।

১৯৪৩ আগস্ট: নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সঙ্গীদের জীবন বাঁচানোর পুরস্কার হিসেবে তাকে 'নেভি অ্যান্ড কর্প্স' পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

১৯৪৫: নৌবাহিনী থেকে অবসর নেন কেনেডি।

১৯৪৭: ম্যাসাচুসেটস থেকে হাউজ অভ রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য হওয়ার লক্ষ্যে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জন এফ কেনেডি।

১৯৫২: সিনেটের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।

১৯৫৮: ম্যাসাচুসেটসের ইতিহাসে রেকর্ডসংখ্যক ভোটে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে সিনেটের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নিজেকে তৈরি করতে থাকেন কেনেডি।

১৯৬০, ২রা জানুয়ারি: মাত্র ৪৩ বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কনিষ্ঠতম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জন এফ কেনেডি।

১৯৬১, ২০ জানুয়ারি: আমেরিকার ৩৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন জন এফ কেনেডি।

১৯৬১: সমগ্র বিশ্বের উন্নতিতে আমেরিকার যুব সমাজকে যুক্ত করতে তিনি 'শান্তি বাহিনী' নামক একটি স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমেরিকার স্বেচ্ছাসেবকরা বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসার সুযোগ পায়।

১৯৬২, ২০শে নভেম্বর: সরকারি সম্পত্তি কেনাবেচার ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের বৈষম্য নিষিদ্ধ করে একটি আইন পাশ করেন কেনেডি।

১৯৬৩, ৫ আগস্ট: তার আন্তরিক চেষ্টায় সোভিয়েত ইউনিয়ন, ব্রিটেন ও আমেরিকা– এ তিন দেশ সীমিত আকারে পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধের চুক্তিতে সাক্ষর করে। সারা বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধে এটি ছিল একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

১৯৬৩, ১১ই জুন: টেলিভিশনে কেনেডি এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন, যা 'রিপোর্ট টু দ্য আমেরিকান পিপল অন সিভিল রাইটস' নামে পরিচিত। তার এ ভাষণে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ভোটদানের ক্ষেত্রে সকল শ্রেণির নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।

১৯৬৩, ২২ নভেম্বর: কেনেডি আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, https://roar.media/bangla/main/biography/biography-of-john-f-kennedy

এবি/এসজে

২১ আগস্ট ২০২১, ১২:৩০এএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।