• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ম্যারাডোনা

ম্যারাডোনা

ফিচার ডেস্ক

ম্যারাডোনা ছিলেন ফুটবলের এক আইকন। ফুটবল খেলায় শ্রেষ্ঠ প্রতিভাবানদের অন্যতম। মাত্র ১৬ বছর ১২০ দিন বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় তার। মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ম্যারাডোনা ৪৯১টি ম্যাচে ২৫৯টি গোল করেছিলেন। অল্প বয়েসে লোস কাবালিও যুব দলে খেলার সময় তার নৈপুণ্যে ১৩৬ টি ম্যাচে সেই দল অপরাজিত ছিল।

১৯৬০, ৩০শে অক্টোবর: ম্যারাডোনা আর্মান্দো মারাদোনা আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসের লানুসের পলিপলিনিকো (পলিক্লিনিক) আবিতা হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেছেন।

১৯৬৮: মাত্র আট বছর বয়সে, ম্যারাডোনাকে একজন প্রতিভাবান স্কাউট তার প্রতিবেশী ক্লাব এস্ত্রেয়া রোহাতে খেলতে দেখে। তার বদৌলতে বুয়েনোস আইরেস ভিত্তিক ফুটবল ক্লাব আর্জেন্তিনোস জুনিয়র্সের জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের দল লস সেবায়িতাস-এ যোগদান করেন।

১৯৭৬, ২০শে অক্টোবর: ম্যারাডোনা আর্জেন্তিনোস জুনিয়র্সের হয়ে তায়েরাস দে কর্দোবার বিরুদ্ধে ম্যাচে অভিষেক করেন। আর্জেন্টিনীয় প্রিমিয়ার বিভাগের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন।

১৯৭৮: তিনি আর্জেন্তিনোস জুনিয়র্সের হয়ে খেলেন মহানগর স্তরে।

১৯৭৯ - ১৯৮০: মহানগর ও জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। এর ফলে তিনি আর্জেন্টিনার ফুটবলে একটি রেকর্ড অর্জন করে, তিনি একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ৫টি প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার অর্জন করেন।

১৯৭৬ - ১৯৮১: পর্যন্ত আর্জেন্তিনোস জুনিয়র্সে তিনি ১৬৭ ম্যাচে ১১৫টি গোল করেন মারাদোনা।

১৯৮১, ২০শে ফেব্রুয়ারি: ম্যারাডোনা ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিময়ে বোকা জুনিয়র্সের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর দুই দিন পর, তায়েরাস দে কর্দোবার বিরুদ্ধে ম্যাচে বোকা জুনিয়র্সের হয়ে অভিষেক করেন।

১৯৮২: স্পেনে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছিলেন। একই বছর জুন মাসে রেকর্ড ৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে স্পেনীয় ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনায় যোগদান করেন ম্যারাডোনা।

১৯৮৩: কোচ সেসার লুইস মেনোতির অধীনে বার্সেলোনা এবং ম্যারাডোনা কোপা দেল রে।

১৯৮৩, ২৬শে জুন: বার্সেলোনার হয়ে করা ম্যারাডোনা গোলটি প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিল। এই ম্যাচে পরাজিত হয় রিয়াল মাদ্রিদ।

১৯৮৩ সেপ্টেম্বর: মাসে কাম্প ন্যুতে অনুষ্ঠিত লা লিগার একটি ম্যাচে ম্যারাডোনা গোড়ালি ভেঙ্গে যায়, এই আঘাতের ফলে ম্যারাডোনা খেলোয়াড়ি জীবন এক হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল, তবে দারুণ চিকিৎসার ফলে মাত্র তিন মাস পর তিনি মাঠে ফিরতে সক্ষম হয়েছিলেন।

১৯৮৪: ম্যারাডোনা ইতালির শীর্ষ স্তরের ফুটবল লীগ সেরি আ-এর ক্লাব নাপোলিতে ৬.৯ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে স্থানান্তরের আরেকটি বিশ্ব রেকর্ড করে যোগদান করেছিলেন।

১৯৮৪, ৫ই জুলাই: নাপোলির খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্ব প্রচার মাধ্যমে উপস্থাপিত হন ম্যারাডোনা, সান পাওলো স্টেডিয়ামে তার আগমনী অনুষ্ঠানে ৭৫,০০০ সমর্থক তাকে স্বাগত জানান

১৯৮৭ ও ১৯৯০: ম্যারাডোনা নেতৃত্বে নাপোলি ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম সেরিয়ে আ ইতালীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জয়লাভ করে।

১৯৯০: বিশ্বকাপ ফাইনালে ডোপ টেস্টে পজিটিভ ধরা পড়ার পর তার ওপর ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।

১৯৯০: আর্জেন্টিনার কোনেক্স ফাউন্ডেশন তাকে গত এক দশকে আর্জেন্টিনার ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সাংস্কৃতিক পুরস্কার ডায়মন্ড কোনেক্স পুরস্কার প্রদান করে।

১৯৯৪: সব সমস্যা কাটিয়ে উঠে আবার বিশ্বকাপে খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু টুর্নামেন্টের মাঝখানেই এফিড্রিন নামের নিষিদ্ধ বস্তু সেবনের দায়ে তাকে আর খেলতে দেয়া হয়নি।

২০০০: ম্যারাডোনা তার আত্মজীবনী ইয়ো সো এল দিয়েগো ("আমি দিয়েগো") প্রকাশ করেন, যা আর্জেন্টিনার সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ে পরিণত হয়েছিল।

২০০১: আর্জেন্টিনীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) ম্যারাডোনা জন্য ১০ নম্বর জার্সি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ফিফার কাছে অনুমতি চেয়েছিল।

২০০৪: এবছর হার্ট এ্যাটাক হয় ম্যারাডোনার। পরে অপারেশন করিয়ে এবং কিউবায় থেকে তিনি ওজন কমান, মাদকাসক্তি কাটিয়ে ওঠেন।

২০০৬ সেপ্টেম্বর: মাসে ম্যারাডোনা তার বিখ্যাত নীল-সাদা নম্বর ১০ পরিধান করে স্পেনে অনুষ্ঠিত ইন্ডোর ফুটবল প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ছিলেন।

২০০৮: বিশ্বকাপে তাকে আর্জেন্টিনা দলের ম্যানেজার নিযুক্ত করা হয়। আর্জেন্টিনা সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নেয়।

২০১০, ২২শে মার্চ: তারিখে লন্ডন ভিত্তিক সংবাদপত্র দ্য টাইমস কর্তৃক 'বিশ্বকাপে সর্বকালের সেরা ১০ খেলোয়াড়' হিসেবে ম্যারাডোনা এক নম্বর নির্বাচিত করা হয়েছিল।

২০২০, ২৫শে নভেম্বর: ৬০ বছর বয়সে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আয়ার্স প্রদেশের তিগ্রেতে তার নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, bbc.com/bengali/news-55002740

এবি/এসজে

২০ আগস্ট ২০২১, ১২:০৪এএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।