পেলে
ফুটবলে যদি শুধু একজনের নাম নিতে হয় তবে পেলের নামই আসবে। ‘কালো মানিক’ খ্যাত ব্রাজিলের পেলেকে বলা হয় ফুটবলের সম্রাট। তিনি ব্রাজিলের জাতীয় দলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও তিনবার বিশ্বকাপজয়ী একমাত্র ফুটবলার। তিনি দলগতভাবে ক্লাবের হয়ে শিরোপা জিতেছেন ২৬টি। ঘরোয়া লীগে ১১ বার সর্বোচ্চ স্কোরার হওয়ার কৃতিত্ব তার অর্জনের সামান্যটুকুই বোঝাতে সক্ষম।
১৯৪০, ২৩ অক্টোবর: ব্রাজিলের ত্রেস কোরাকোয়েস শহরের এক বস্তিতে জন্মগ্রহণ করেন পেলে।
১৯৫৫: মাত্র ১৫ বছরের পেলের উপর নজর পড়ে সান্তোসের গ্রেট ওয়ালডেমার ডি ব্রিটোর।
১৯৫৬: সান্তোসের মূল দলে যোগ দেন। সেবার ব্রাজিলের পেশাদার ফুটবল লীগে সান্তোসের হয়ে লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারটি অর্জন করেন তিনি।
১৯৫৭, ৭ জুলাই: মারাকানায় পেলে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন , আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। ২-১ ব্যবধানে হারা সেই ম্যাচে ব্রাজিলের পক্ষে প্রথম গোল করে পেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার স্থান দখল করেন।
১৯৫৮: ফিফা বিশ্বকাপে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে পেলে তার প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেন।
১৯৫৯ সালে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার পুরো টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৮ গোল করেন এবং টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার জিতে নেন।
১৯৬৯: ব্রাজিলিয়ান টেলিভিশনের ধারাবাহিক ওস এস্ত্রানহোতে প্রথম দেখা গিয়েছিল কালো মানিককে।
১৯৭০: বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন পেলে। পরে নিজেকে সর্বকালের সেরা ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে প্রমাণ করেন পেলে।
১৯৯৯: সালে টাইম ম্যাগাজিনে বিংশ শতাব্দীর ১০০ জন মানুষের তালিকায় জায়গা পান পেলে।
২০০১: ব্রাজিল ফুটবলে দুর্নীতির বিচারের জন্য পেলের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য ‘পেলে ল’ নামে একটি আইন ব্রাজিলে কার্যকর হয়।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, http://politicsnews24.com/football/30566/
এবি/এসজে