• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যর্থ মানুষের ১০ অভ্যাস

ব্যর্থ মানুষের ১০ অভ্যাস

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

এমন কিছু অভ্যাস আছে যা, আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। কিন্তু আমরা অনেকেই সেসব ব্যাপারে বুঝি না। অভ্যাসগুলো দেখে প্রাথমিকভাবে অতটা ক্ষতিকরও মনে হয় না। এসব অভ্যাসের কারণে সাময়িক সুবিধা পেলেও লম্বা সময়ে ক্ষতিই হয়ে যায়। এসব অভ্যাস এমন পর্যায়ে পৌছে যায়, যেখান থেকে বের হওয়া অত্যন্ত কঠিন। একজন মানুষের ব্যর্থতার নেপথ্যে এই অভ্যাসগুলোর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। মনস্তাত্বিকরা সেরকমই বলছেন। তাই, সফল হতে হলে এই অভ্যাসগুলো ছাড়ার কোনো বিকল্প নেই।

কাজে বিলম্ব করা: বিলম্ব করা অনেকের কাছে সহজ ও সাভাবিক একটি ব্যাপার মনে হতে পারে। কিন্তু এটি উৎপাদনশীলতার প্রধান শত্রু। কাজ স্থগিত করা, অপ্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি ও কর্মক্ষমতা প্রভাবিত করে এই বাজে অভ্যাসটি। এটি যেকোনো কাজ অসম্পূর্ণ রাখে।

লক্ষ্য নির্ধারণের অভাব: লক্ষ্যহীন জীবন কখনোই কাঙ্খিত অর্জনের অধিকারী হতে পারে না। স্পষ্ট এবং অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা সবার আগে জরুরি। কেউ লক্ষ্যহীনভাবে প্রবাহিত হতে পারে, কিন্তু কখনোই কিছু অর্জন করতে পারে না।

পরিবর্তন প্রতিরোধ করা: সফল ব্যক্তিরা সবসময় পরিবর্তন ও নতুনকে আলিঙ্গন করে। সফল ব্যক্তিরা পরিবর্তনকে নতুন সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে। কিন্তু যারা পরিবর্তনকে প্রতিবন্ধকতা মনে করে, তারাই পিছিয়ে পড়ে। তারা পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না।

নেতিবাচকতা: নেতিবাচকতা একটি চরম ব্যর্থ ব্যক্তিত্বের প্রকাশ মাত্র। এটি সৃজনশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করে। দুর্বল সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিকে মানুষকে প্রভাবিত করে নেতিবাচক মানসিকতা। তাই, ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন নয়, এমন মানুষ বরাবরই ব্যর্থতার কাতারে ভেসে গেছে।

সময়ের অপব্যবহার: সময় সবচেয়ে মূল্যবান। কাজেই যে ব্যক্তি সময়ের ব্যাপারে যত্নশীল, সে সকল কর্মে সফল। সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার ফলে নতুন কাজে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়। এ ছাড়া সঠিক ভাবে সময়ের ব্যবহার আপনার জন্য বিশ্রাম ও বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি করে।

স্ব-শৃঙ্খলার অভাব: আত্ম-শৃঙ্খলা সাফল্যের চাবিকাঠি। এটি এমন পছন্দগুলি তৈরি করে যা একজনের লক্ষ্যের সাথে সারিবদ্ধ। আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাবে মানুষ ভুল পথে পাড়ি জমায়। এতে অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে।

ঝুঁকি নেয়ার ভয়: সাফল্যের অন্যতম শক্তি ঝুঁকি নেয়া। সফল ব্যক্তিরা ঝুঁকি নিয়েই জীবনে বড় হয়। কিন্তু যারা কর্ম ও জীবনে ব্যর্থ, তারা ঝুঁকি নিতে নারাজ। নানা রকম ভয় ও অজুহাত এই শ্রেণির মানুষের মুখে থাকেই। এরা জীবনকে সহজ ভাবেই পেতে পছন্দ করে।

অধ্যবসায়ের অভাব: সাফল্যের জন্য আমরা প্রায় সবকিছুই করতে চাই। কিন্তু অধ্যবসায়ের কথা আমাদের অধিকাংশের মাথায় থাকে না। অধ্যবসায় বা প্রবল প্রচেষ্টা না থাকলে জীবনের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছানো অলীক স্বপ্ন কেবল।

ভুল থেকে শিক্ষা না: ভুল সবাই করে, কিন্তু ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া জরুরি। ভুলের ওপর স্থির থাকা অন্যায়। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে, নতুন করে সুযোগ তৈরি করার মাঝেই সফলতা রয়েছে। ভুলের ওপর স্থির থাকা বা একই ভুলের পুনরাবৃত্তি মানুষকে ধ্বংস করে দেয়।

নিজের যত্ন না নেয়া: অনেকেই পরিশ্রম করে, দায়িত্বশীলতা দেখায়, তারপরও ব্যর্থ। এর অন্যতম কারণ, অনেক পরিশ্রমী মানুষই নিজের যত্নের প্রয়োজনীয়তা বুঝে না। যে ব্যক্তি নিজের যত্ন নিতে জানে, সে সব কিছুই ভালো ভাবে করতে জানে। সুস্থ থাকলেই তো জীবনের সবকিছু সঠিক থাকবে।

০৫ জুন ২০২৩, ০৫:৫৫পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।