• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেকফাস্ট এমন হলে ঝরঝরে শরীরে কমবে ওজন

ব্রেকফাস্ট এমন হলে ঝরঝরে শরীরে কমবে ওজন

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

সুস্থ সবল দেহের জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু খাদ্যাভ্যাস ও পরিকল্পিত জীবনধারা। সকাল থেকে রাত অবধি আপনার প্রতিটি কাজ কেমন হবে তা গুছিয়ে রাখুন। বিশেষ করে সকালটা যেন গোছালো হয়। সকালটা সুন্দর হওয়া মানে সারাটা দিন ফুরফুরে মেজাজে থাকা। পুষ্টিবিদরা বলছেন, সকালে ভরপেট নাস্তা করলে দুপুরের আগে খুব বেশি খিদে লাগে না, এ কারণে সময়ে অসময়ে এটা-সেটা খাওয়াও লাগে না। স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তায় ক্যালসিয়াম, আঁশ ও প্রোটিন রাখা সবচেয়ে জরুরি।

সকালের নাস্তায় যা খাবেন

মার্কিন জনপ্রিয় স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েব জার্নাল হেলথ লাইনে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, ব্রেকফাস্ট বা সকালের নাস্তায় স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, জাম, ডিম, গ্রিন টি, চিয়া সিড, লাল আটার রুটি ও বাদাম সবচেয়ে উপযোগী খাবার। ব্রেকফাস্টে খেতে পারেন-

ফল

সকালের নাস্তায় ফলমূল রাখুন। বিশেষ করে আপেল, কমলা, আঙুর অথবা মৌসুমি ফলমূল দিয়ে সকালের নাস্তা করা উত্তম। সতেজ ফলমূল রোগপ্রতিরোধ করে ও ওজন কমাতে সহায়তা করে। কারণ, ফলে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়ামসহ অন্যান্য উপাদান দেহের উন্নতি সাধনে ভূমিকা রাখে।

গ্রিন টি

সকালের নাস্তায় এক কাপ গ্রিন টি রাখলে সারাদিন চনমনে থাকা যায়। কারণ, গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ ছাড়া এতে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন বি , বি৫, ডি, ই, সি, ই, এইচ সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। সকালের নাস্তায় গ্রিন টি পান করলে ওজন কমে দ্রুত।

বেরি জাতীয় ফল

স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, জাম জাতীয় ফলগুলো বিশ্বের অধিক পুষ্টিকর খাদ্যের মধ্যে অন্যতম। বেরি জাতীয় ফলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকে, যা মানবদেহের কোষকে সুস্থ রাখে এবং সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করে। এটি রক্তের ইনসুলিনের ভারসাম্য ঠিক রাখে ও রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে।

চিয়া সিড

চিয়া সিড বা চিয়া বীজ মরুভূমিতে জন্মানো সালভিয়া হিসপানিকা উদ্ভিদের বীজ। এটি এতই উপকারি যে, চিয়া সিডে আছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালংশাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম, স্যামন মাছের থেকে ৮ গুণ বেশী ওমেগা-৩। এটি শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে।

ডিম

প্রাণীজ প্রোটিনের সব চাইতে উন্নত ও উত্তম উৎস ডিম। তাই, সকালের নাস্তা বা ব্রেকফাস্টে ডিম খেতে পারেন। ডিমে থাকা ক্যালরি শরীরের শক্তি যোগায়। এটি দ্রুত খিদে লাগার অনুভূতি কমায়।

কাঠবাদাম

কাঠবাদামের বিকল্প পাওয়া কঠিন। পানিতে ভিজিয়ে কাঠবাদাম খেলে এর পুষ্টিগুণ অনেক বেড়ে যায়। হজমশক্তি বাড়াতে ও ওজন কমাতে কাঠবাদামের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের নাস্তায় কাঠবাদাম খাওয়ার ফল কল্পনাতীত। এই বাদামে থাকা বাদামি আবরণে ট্যানিন নামের উপাদান থাকে, যা পুষ্টি শোষণ করে। ভেজানো হলে খোসা খুলে যায় এবং সহজে পুষ্টি বের হয়।

ওটমিল

সারাদিন শরীরে শক্তি পেতে চাইলে ওটমিল রাখুন সকালের নাস্তায়। কারণ, ওটসে আছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাংগানিজ, কপার, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, ফলেট, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ ভিটামিন বি। দুধ, ফল ও বাদাম মিশিয়ে ওটস খেতে পারেন সকালের নাস্তায়।

বাকহুইট বা বাজরা

ব্লাকহুইটের বাংলা নাম বাজরা। একে প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ থাকে। এই দানা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এটি ঋতুস্রাব পরবর্তী শারীরিক সমস্যা ও হজমের সমস্যা দূর করে। রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে বাকহুইট।

ফ্ল্যাকসিড বা তিসি

ফ্ল্যাকসিড বা তিসিকে বলা প্রকৃতির মহৌষধ। তিসি বীজের উপকারিতা ব্যাপক। সকালের নাস্তায় মাত্র এক চামচ তিসি বীজ খেলেই শরীরে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৬, ফলেট, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম প্রবেশ করে। এটি দেহের রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।

 

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন।

২১ মার্চ ২০২৩, ০৫:৪৭পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।