• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শীতে সুন্দর ত্বকের জন্য...

শীতে সুন্দর ত্বকের জন্য...

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

ঋতু পরিবর্তনের সৌজন্যে দেশে এসেছে শীত। এই শীতে শরীর তার রঙ হারায়। ত্বক হয়ে ওঠে খসখসে। নভেম্বরের মাঝামাঝি এলেই আমাদের ত্বক আরও সুষ্ক হয়ে যায়। শীতে ত্বকের যত্ন নিতে হবে পরিকল্পিত ভাবে।

শীতে ত্বকে কী সমস্যা হয়

জনপ্রিয় মার্কিন স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইন, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বিভিন্ন লাইফস্টাইল জার্নালে বলা হয়েছে, শীতে ত্বকে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যেমন-

* ইকথায়োসিস: ইকথায়েসিস বলতে মূলত হাঁটু থেকে পা পর্যন্ত এমনকি সর্বাঙ্গ শুকিয়ে খোসার মতো আঁশ উঠতে থাকাকে বোঝায়। শীতকালেই ইকথায়োসিসের দুর্ভোগ বেড়ে যায়।

* সেনাইল জেরোটিক প্রুরাইটাস: সারা শরীর শুকিয়ে চুলকানির মতো তৈরি হয়। চল্লিশোর্ধ্ব মানুষেরা এটিতে বেশি ভুগে থাকেন।

* সোরাইসিস বা সোরিওসিস: এই সমস্যায় সাধারণত মাথা, হাঁটু, কনুইসহ সারা শরীরে মাছের আঁশের মতো খোসা উঠতে থাকে।

* শিশুর এগজিমা: যেসব শিশুর অ্যাটোপিক ডার্মাটাইসিস (এগজিমা) রয়েছে, শীতকালে সেসব শিশুদের এ রোগ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

* খুশকি: শীতকালে নিয়মিত গোসল না করায় মাথার ত্বকের মৃত কোষে জমে থাকা ধূলিকণা চুলের গোড়ায় ইনফেকশন ঘটায়। ফলে খুশকির সমস্যা বেড়ে গিয়ে চুল পড়তে শুরু করে।

শীতে ত্বকের সমাধান

শীতকালে যারা বিশেষ সমস্যায় ভোগেন, তাদের উচিত শীতের শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা।

তেল ব্যবহার করুন: সব সময় আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে গোসলের আগে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল মাখুন। তবে সর্ষের তেল একেবারেই ব্যবহার করবেন না। কারণ, সরিষার তেল বিশুদ্ধ না হলে উপকারের চেয়ে ক্ষতির ঝুঁকি থাকে বেশি।

গোসলে সাবান ছাড়ুন: শীতকালে গোসলের সময় সাবান ব্যবহার না করাই ভালো। এ ক্ষেত্রে সিনথেটিক ডিটার্জেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এ ধরনের সাবানে চামড়ার ওপর থেকে তেলের স্তর উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। শীতকালে জীবাণুনাশক সাবান একেবারেই ব্যবহার করবেন না।

প্রসাধনী কেমন হবে: গোসলের পরে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত দু’বার ময়েশ্চারাইজার মাখুন। ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভ্যাসলিন ব্যবহার করতে পারেন।

পানি পান করুন: ত্বক সুস্থ রাখতে সবচেয়ে প্রয়োজন পানি। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এতে শরীরের আদ্রতা ঠিক থাকে।

শরীর পরিষ্কার রাখুন: শীতে সুস্থ ত্বকের জন্য সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। সপ্তাহে অন্তত তিনবার শ্যাম্পু করুন। প্রতিদিন গোসল করুন। ভুলেও শরীরে সরিষার তেল লাগাবেন না।

পোশাক যেমন হবে: শীতে প্রাণোবন্ত ত্বকের জন্য সুতির পোশাক ব্যবহার করুন। উলের পোশাক সরাসরি ব্যবহার না করাই ভালো। প্রয়োজনে হালকা সুতির জামার ওপর উলের পোশাক ব্যবহার করতে পারেন। টাইট ফিট এবং সিনথেটিক পোশাক ত্বককে আরও শুষ্ক ও রুক্ষ করে এবং অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। কাজেই আরামদায়ক এবং প্রাকৃতিক তন্তু দিয়ে তৈরি পোশাক পরিধান করুন। পলিয়েস্টার, লিলেন, নাইলন ইত্যাদি কাপড় ব্যবহার করবেন না।

ঘরের আদ্রতা বজায় রাখুন: ঘরে জলীয় বাষ্পের অনুপাত ঠিক রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে রুমের জলীয় বাষ্প ৪০ থেকে ৬০ শতাংশে রাখুন। বিশেষ করে একজিমা, সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস ইত্যাদি রোগে যারা ভুগে থাকেন তাদের জন্য হিউমিডিফায়ার বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।

 

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ন্যাচার টিপস।

১৩ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৫৮পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।