‘মিছরি’ যেন মিষ্টির চেয়েও বেশি কিছু
প্রতিকী ছবি
খাওয়ার পরে অনেকেই মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন। কেউ আবার মুখের সজীবতা ধরে রাখতে মিছরি খেয়ে থাকেন। মিছরি মূলত পরিশুদ্ধ চিনির দলা। এটাকে চিনির বিকল্প হিসেবেও খাওয়া হয়। তবে চিনির চেয়ে খাবার হিসেবে মিসরি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিসমৃদ্ধ।
প্রিয় পাঠক, আপনাদের জন্য আমরা আজ মিছরির উপকারিতা ও গুণাগুণ নিয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক-
গুণাগুণ
জনপ্রিয় মার্কিন স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইন বলছে, মিছরিতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারি। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি। আনপ্রসেসড সুগার হওয়ায় এটি চিনির চেয়ে নিরাপদ। এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক ও ফসফরাস। আছে ভিটামিন, বি ১২।
উপকারিতা
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, মিছরি-
রক্তশূন্যতা দূর করে : মিছরি রক্তশূন্যতা দূর করতে ব্যাপকভাবে কার্যকরী। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম ও আয়রন।
হাড়ের সমস্যা নিরাময় : হাড়ের দীর্ঘদিনের ব্যথা নিরাময়ে মিছরির পানি খুবই উপকারী। এতে থাকা ক্যালসিয়াম আপনার হাড়কে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে : মিছরিতে থাকা ফসফরাস ও জিঙ্ক দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে।
কিডনীর পাথর দূর করে : যারা কিডনীতে পাথরজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মিছরি মেশানো পানি পান করতে পারেন। এতে কিডনীর পাথর দূর হয়।
পেট ব্যথা দূর করে : পেটের ব্যথায় ভুগছেন? এখনই খেয়ে নিন এক গ্লাস মিছরি গুলানো পানি। পেটের ব্যথা দূর হবে।
ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ : ডায়রিয়া থেকে মুক্ত থাকতে হলে নিয়মিত মিছরির পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়া ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর দ্রুত সুস্থতার জন্য মিছরি মেশানো পানি খাওয়ান।
হজম শক্তি বাড়ায় : মৌরির সঙ্গে মিছরি মিশিয়ে পান করুন। এতে আপনার হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
শক্তিবর্ধক : অবাক করার মতো তথ্যই বটে। খাওয়ার পর মিছরি খেলে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি হয়। তাই দুপুরে খাওয়ার পরের আলস্য বোধ দূর করতে মিছরির টুকরো মুখে পুরে নিতে পারেন।
কফ ও গলার ব্যথা কমায় : ঠাণ্ডাজনিত কফ ও গলা ব্যথার সমস্যা সমাধানে মিছরি খুবই কার্যকরী। কফ ও গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে গোলমরিচের গুঁড়োর সাথে ঘি ও মিছরি মিশিয়ে পেস্ট করে রাতের খান। সকালেই আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
পরামর্শ : মিছরি উপকারী খাবার হলেও কতটুকু পরিমাণে মিছরি খাওয়া যাবে, তা জানার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মারাত্মক রোগে যারা আক্রান্ত, তারা মিছরি খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
তথ্যসূত্র : হেলথলাইন, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও উইকিপিডিয়া।
এবি/এসএন