• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বহু রোগের প্রতিষেধক ‘গরম মসলা’

বহু রোগের প্রতিষেধক ‘গরম মসলা’

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

ভারতীয় উপমহাদেশে রান্না-বান্নায় একটা আলাদা ঝাঁঝ আছে। কথিত আছে, মোঘল সম্রাটদের হাত ধরে বাঙালির রান্নায় ভারী মসলার ব্যবহার নতুন মাত্রা পায়। তবে ইতিহাস বলছে, প্রাচীণ কাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে রান্নায় বাহারি মসলার ব্যবহার ছিল। ভোজনরসিকদের জিভে পানি আনে এমন অনেক মসলা রয়েছে। এর মধ্যে গোলমরিচ, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, জায়ফল এবং জয়ত্রী, জিরা অন্যতম। এসব মসলা শুধু রান্নায় স্বাদ বাড়াই না, বরং এগুলো দেহের জন্যও উপকারি।

গরম মসলা কী?

গরম মসলা বলতে আসলে একক কোনো মসলা নয়। এই নামে কোনো মসলাও আদতে নেই। তবে রান্নায় স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়াতে বেশ কিছু ভেষজ মসলার সম্মিলিত ব্যবহারকে গরম মসলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গরম মসলা মূলত গোলমরিচ, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, জায়ফল এবং জয়ত্রী ও জিরার একটি সম্মিলিত মিশ্রণ। কেউ কেউ গরম মসলার এই মিশ্রণে মৌরি, সরিষা দানা, মেথি সহ অন্যান্য উপাদানও যোগ করেন। এটি অবশ্য ব্যক্তির পছন্দের ওপর নির্ভর করে।

উপকারিতা

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, গরম মসলায় ব্যবহৃত উপাদানগুলোতে বিভিন্ন মাত্রায় উপকারি খনিজ, ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান শরীরের রোগ বালায় দূরে রাখে। শরীর রাখে ঝরঝরে।

কোলেস্টেরল ও রক্তের শর্করা কমায়: মরিচ, লবঙ্গ, দারুচিনি ও এলাচ দেহের রক্তে মিশে থাকা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নষ্ট করে। সেই সঙ্গে এসব মসলা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: মসলা জাতীয় উপাদানে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, জিংক ও অন্যান্য খনিজ উপাদান। এসব উপাদান স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে। একই ভাবে হার্ট সুস্থ রাখে মসলা। এ ছাড়া ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করতেও সহায়তা করে মসলা।

প্রদাহ বিনাশ করে: জিরা গরম মসলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এতে রয়েছে ‘অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি’ উপাদান ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা হজমে সাহায্য করে, জিরায় থাকা পর্যাপ্ত আয়রন হিমোগ্লোবিনের
মাত্রা ঠিক রাখে।

দাঁত ভালো রাখে: দাঁত ব্যথা ও দাঁত ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে লবঙ্গ। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

ত্বক উন্নত করে: ত্বকের বলিরেখা কমাতে দারুচিনি, গোল মরিচ ও জিরার জুড়ি মেলা ভার। এসব মসলায় থাকা থাকা উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ত্বকের বলিরেখা ও অবাঞ্ছিত দাগ দূর করে।

ডায়াবেটিস দূরে রাখে: রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে দারচিনি। যা গবেষণায় প্রমাণিত। দারচিনিতে থাকা বিভিন্ন উপাদান দেহে ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে যারা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, দারচিনি তাদের জন্য দারুণ উপকারি।

হার্টের ক্ষমতা বাড়ায়: দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ। তাই, হৃদরোগ ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য ঝুঁকি এড়াতে ভেষজ মসলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। মসলা হার্টে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে হৃদরোগ দূরে থাকে।

 

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

২২ মে ২০২৩, ০৫:৫৬পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।