• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন সহজে

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন সহজে

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

সুস্থ ও সুন্দর জীবনধারার জন্য মানসিক প্রশান্তির বিকল্প নেই। ভালো স্বাস্থ্য মানেই মানসিক ও শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকা। অধিকাংশ মানুষ শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিলেও মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে অন্ধকারে। কেউ কেউ তো জানেই না মানসিক স্বাস্থ্য কি? আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন ঠিকমতো চালিয়ে নিতে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করা দরকার। সুষ্ঠু জীবনাচার ও অভ্যাস আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

জনপ্রিয় মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েব জার্নাল হেলথ লাইন মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটানোর কয়েকটি কৌশল প্রকাশ করেছে। কৌশল বা উপায়গুলো আমাদের জেনে রাখা ভালো।

পুষ্টিকর খাবার খান

পুষ্টিবিদরা বলছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য খাদ্যাভাসের প্রভাব অনেক বেশি। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার শরীর ভালো রাখে। ফলে মানসিক ভাবে আস্থা ও নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পায়। বাদাম, ফল, শাকসবজি, ডিম, দুধ মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করে।

শরীরচর্চা করুন

মানসিকভাবে ভালো রাখার কার্যকরী উপায় হলো নিয়মিত শরীরচর্চা করা। শরীরচর্চা করার ফলে আপনার দেহ সক্রিয় থাকবে। এতে দেহের শক্তি বজায় থাকে ও হরমোনজনিত ত্রুটি দূর হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে মন ফুরফুরে হয়ে যায়। সকালে অথবা বিকালে খোলা স্থানে ব্যায়াম করুন।

কাজ করুন নিয়মমাফিক

আপনার নিত্যনৈমিত্তিক কাজ একটি নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসুন। এলোমেলো কাজ ও অগোছালো অভ্যাস পরিহার করুন। নিয়ম মেনে খাওয়া, গোসল, ঘুমানোর অভ্যাস করা উচিত। সময়ের সঠিক ব্যবহার করুন। যারা নিয়ম মেনে দৈনন্দিন কাজ-কর্ম করে থাকেন, তাঁরা মানসিক ভাবেও সুস্থ থাকেন।

মোবাইল ফোনে সময় কম দেন

স্মার্টফোন আমাদের জীবনের বড় একটি সময় কেড়ে নিচ্ছে। আপনি নিজের অজান্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিনের বড় একটি সময় স্মার্টফোনের মাধ্যমে কাটিয়ে দিচ্ছেন। এতে করে মাথা যন্ত্রণা, চোখের রোগ, মস্তিষ্কে রেডিয়েশনের প্রভাবসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। মোবাইল ফোন আপনার মনোযোগ নষ্ট করে দিচ্ছে। যা দিন শেষে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে ঝুঁকিতে ফেলছে। তাই, মোবাইল ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার কমান।

দুশ্চিন্তা ছেড়ে সৃষ্টিশীল কাজে সময় দিন

সৃষ্টিশীল ও গঠনমূলক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। প্রতিদিন সংবাদপত্র পড়ুন। রুবিক্স কিউব বা পাজল মেলানো অথবা ক্রসওয়ার্ড সমাধান করা কাজে নিজের সময় ব্যয় করুন। এতে মস্তিষ্ক থাকবে সক্রিয়। পাশাপাশি, দুশ্চিন্তা করার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। দুশ্চিন্তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি করে।

পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে

প্রতিদিন অন্তত ৭/৮ ঘণ্টা ঘুমান। ঘুম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য একটি অভ্যাস। মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ঘুম। তাই, রাতে দ্রুত ঘুমাতে যান এবং সকালে দ্রুত ঘুম থেকে উঠে শরীরচর্চা শুরু করুন।

মাদক পরিহার করুন

মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে মাদক সেবনের অভ্যাস। মানসিক ভাবে মানুষ যখন হতাশ হয়ে পড়ে, তখন অধিকাংশ মানুষই ধূমপান ও মাদকের ওপর ঝুঁকে পড়ে। তাই, মাদক সেবন থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।

প্রার্থনা করুন

মানসিক ভাবে ভালো থাকতে হলে ধর্মীয় প্রার্থনা করার বিকল্প খুব কম। অধিকাংশ মানুষ ধর্মীয় আচারের মাঝে মানসিক তৃপ্তি ও প্রশান্তি পেয়ে থাকেন। তাই, নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি মেনে প্রার্থনা করুন। এতে মানসিক চাপ কমে যাবে। নিভৃতে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুন।

মন যা চায়, তাই করুন

মাঝে মাঝে ধরা বাঁধা নিয়ম ভুলে নিজের ইচ্ছে মতো ঘুরে বেড়ান। যা খেতে ভালো লাগে, তা খান। যা করতে ইচ্ছে করে, তাই করুন। ছবি আঁকুন, গান শুনুন, কবিতার বই পড়ুন।

 

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন।

১৫ মে ২০২৩, ০৪:৪৯পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।