• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডাবের পানির যত গুণ

ডাবের পানির যত গুণ

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

কচি নারকেল ডাব নামে পরিচিত। ডাবের ভেতরের রস পুষ্টিগুণে অনন্য। ডাবের পানি পছন্দ করেন না, এমন মানুষ পাওয়া ভার। কচি ডাবের পানি ও ভেতরের শাঁস বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। তবে ডাবের পানির চাহিদা শাঁসের চেয়ে বেশি। বিশেষ করে নিরক্ষীয় অঞ্চলে ডাবের পানির জনপ্রিয়তা বেশি। কারণ এই অঞ্চলে উষ্ণতা বেশি। তৃষ্ণা নিবারণের পাশাপাশি ডাব শরীরের তাৎক্ষনিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।

ডাবের পানির বৈশ্বিক ব্যবহার : ডাবের পানি এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যাচ্ছে। যেসব দেশে ডাব বা নারকেল গাছ নেই, সেসব দেশে বিকল্প উপায়ে ডাবের পানির চাহিদা পুরণ করা হচ্ছে। প্রক্রিয়াজাত করা টাটকা ডাব, ক্যানে ভরা ডাবের পানি ও বোতলজাত আকারে ডাবের পানি পাওয়া যাচ্ছে।

পুষ্টিগুণ : খাবার স্যালাইনের বিকল্প হিসেবে ডাবের পানি ব্যবহারের প্রচলন আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম ডাবের পানিতে রয়েছে ৯৫.৫ শতাংশ পানি, ০.০৫ শতাংশ নাইট্রোজেন, ০.৫৬ শতাংশ ফসফরিক এসিড, ০.২৫ শতাংশ পটাসিয়াম, ০.৬৯ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ০.৫৯ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড, ০.৫ গ্রাম লৌহ, ০.৮০ গ্রাম চিনি এবং ০.৬২ শতাংশ আঁশ। এছাড়া এতে ভিটামিন-সি, রিবোফ্লেভিন ও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

রোগ নিরাময়ে ডাবের পানি : ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ডাবের পানির অত্যন্ত কার্যকরী। ডায়রিয়া হলে মানবদেহের ইলেকট্রোলাইট কমে যায়, ফলে মানুষ দুর্বল হয়ে পড়েন। ডাবের পানি পান করলে শরীরের ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা স্বাভাবিক হয় এবং দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি কিছু কিছু রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে। যেমন-

  • কিডনির পাথর সৃষ্টি রোধ করে
  • ডায়রিয়া নিরাময়
  • আলসার থেকে মুক্তি
  • গ্যাসটাটাইটিস বা এসিডিটি থেকে মুক্তি 
  • মুত্রনালীর প্রদাহ ও সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

পরামর্শ : ডাবের পানি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী হওয়া সত্ত্বেও কিডনি রোগীদের জন্য তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ ডাবে থাকা পটাসিয়াম কিডনির কার্যক্ষমতা বাধাগ্রস্থ করে। এছাড়া ডাবে রয়েছে সোডিয়াম। যা রক্তচাপ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কাজেই উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগে ভুগছেন, এমন ব্যক্তির জন্য ডাবের পানি এড়িয়ে চলায় উত্তম।

 

আমরাই/এসএন

১৪ জুলাই ২০২১, ০৭:৩৯পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।