• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অস্বস্তিকর ঘামাচি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়

অস্বস্তিকর ঘামাচি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

সময় এখন গরম-বৃষ্টির। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তির আরেক নাম ঘামাচি। বলা যায়, ঘামাচির মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। বিশেষত, শিশু এবং যাঁদের শরীর বেশি ঘামে, ঘামাচির বিড়ম্বনা তাদের বেশি। ঘামাচি মূলত এক ধরণের চর্ম রোগ। আকারে ছোট হলেও ঘামাচির মতো বিব্রতকর ও অস্বস্তিদায়ক রোগ আর নেই।

ঘামাচি কেন হয়

জনপ্রিয় মার্কিন স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েব জার্নাল হেলথ লাইন ও ওয়েব এমডিতে প্রকাশিত নিবন্ধে গবেষকরা বলেছেন, গরমকালে শরীর ঘেমে গিয়ে ঘামগ্রন্থির নালি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঘামের বিভিন্ন উপাদান শরীর থেকে ঠিকমতো বের হতে পারে না। এ কারণে ত্বকের বিভিন্ন স্তরে জমা হয়ে ঘামাচির সৃষ্টি করে। গরমে আঁটসাঁট পোশাক পরলে ঘামাচি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

ঘামাচি দূর করার ঘরোয়া উপায়

হেলথ লাইন ও ওয়েব এমডি ওয়েবজার্নালে ঘামাচি রোধে ঘরোয়া কিছু পরামর্শ ও টিপস উল্লেখ করা হয়েছে। ঘামাচি রোধে প্রাকৃতিক উপাদান বেশ কার্যকরী। যেমন-

নিমপাতা: ঘামাচি তাড়াতে নিমপাতার জুড়ি মেলা ভার। প্রকৃতির এক দারুণ উপহার নিমপাতা। গোলাপজল মেশানো নিমপাতার রস ঘামাচির ওপর লাগালে ঘামাচি মরে যায়।

অ্যালোভেরা ও হলুদ: ঘামাচির ওপর ঘৃতকুমারীর (অ্যালোভেরা) নির্যাস বা হলুদের সঙ্গে ঘৃতকুমারীর রস মিশিয়ে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ঘামাচি পালাবে।

বৃষ্টির পানি: বৃষ্টির পানি ঘামাচি রোধে সবচেয়ে কার্যকরী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। শরীরে বেশি ঘামাচি হলে বৃষ্টির পানিতে ভিজুন। ঘামাচি দূর হবে নিশ্চিত।

ঠাণ্ডা পানির সেঁক: আইসব্যাগ বা গামলায় ঠান্ডা পানি বা বরফ নিয়ে ঘামাচি আক্রান্ত স্থানগুলোতে সেঁক দেয়া যেতে পারে। দিনে অন্তত ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে এই সেঁক দিলে উপকার পাওয়া যায়।

মুলতানি মাটি: ত্বক ও চুলের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার সুপ্রাচীন। এটি চর্মরোগের প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবেও বেশ কার্যকরী। এই মাটি গোলাপজল দিয়ে পেস্ট করে ঘামাচির ওপর লাগিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।

বেকিং সোডা: ঘামাচি দূর করতে বেকিং সোডা খুবই কার্যকরী। ঠান্ডা পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। তাতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে ত্বকে কিছুক্ষণ রেখে দিন। উপকার পাবেন।

 

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন ও ওয়েব এমডি।

০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০৫পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।