করোনাকালে শিশুর মানসিক বিকাশ
করোনা মহামারীর কারণে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই দীর্ঘ সময় ধরে ঘরবন্দী শিশুরা। এমনকি অনেক নবজাতক জন্মের পর থেকেই বাড়িতে বন্দী। পরিবারের কয়েকজন ছাড়া বাইরে কারও সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হচ্ছে না। বাইরের পরিবেশ তাদের কাছে একেবারেই অচেনা। ফলে তাদের মধ্যে আচরণগত যেমন অস্থিরতা, রাগ, বিরক্তি, ভয় পাওয়া, ঘুম না হওয়া ইত্যাদি নানান সমস্যা দেখা যায়।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক শিশু-কিশোরকে অনলাইনে ক্লাস করতে হচ্ছে। বেশীরভাগ শিশু ক্লাসের বাইরেও মোবাইল নিয়ে থাকছে। ফলে তারা এসব ইলেকট্রনিক ডিভাইসের উপর আসক্ত হয়ে পড়ছে। এতে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে সন্তানদের গড়ে তুলতে অভিভাবকদের আরও বেশি সচেতন, যত্নবান ও শিশুদের ব্যবহারের প্রতি নজর দিতে হবে। কারণ, শিশুরা ব্যবহারের মধ্য দিয়ে তাদের সমস্যাগুলো প্রকাশ করে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে শিশুর খারাপ লাগা ভালো লাগা বুঝতে হবে। ঘরের মধ্যে সংস্কৃতি চর্চা ও সৃজনশীল কাজে তাদের ব্যস্ত রাখতে হবে। শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি মানার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। করোনা সংকটের এই সময়ে নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সন্তানদের অভ্যস্ত করাতে হবে। নাচ-গান, খেলাধুলা ও গল্পের বই পড়ার পাশাপাশি ঘরের কাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যাতে করে একঘেয়েমি ভাবটা দূর হয়ে যায়।
তবে কনোভাবেই তাদের শারীরিক ও মানসিক চাপ দেয়া যাবে না। এরপরেও যদি সন্তানের মধ্যে মানসিক সমস্যা দেখা যায় তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে।
টাইমস/এসজে