• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বেশি বয়সে মা হওয়ার ঝুঁকি

বেশি বয়সে মা হওয়ার ঝুঁকি

ফিচার ডেস্ক

সাধারণত মা হওয়ার উপযুক্ত সময় ২৫ থেকে ৩০ বছর। কেউ বিয়ের পরপরই সন্তান নিয়ে নেন। আবার অনেকেই নানান কারণে সময়মতো মা হতে পারেননি। চাকরি, সংসার ও নানা জটিলতার কারণে বিশ্বব্যাপী নারীদের গর্ভধারণের বয়স বাড়ছে। ১৯৯০ সালে চল্লিশ বছর বয়সে নারীদের গর্ভধারণের যে হার ছিল এখন তা দ্বিগুণ হয়েছে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে সন্তান জন্মদানে ঝুঁকিও বাড়ছে।

সাধারণত ৩৪ বছর বয়সের পরে মা হলে সেটিকে বেশি বয়সের মাতৃত্ব বলা হয়। ৩৪ বছরের পরে প্রথম সন্তান ধারণ করলে প্রথম তিন মাসে গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ছয় মাসের পরে রক্তক্ষরণ হতে পারে। আবার সন্তান প্রসবের সময়ও জটিলতা, এমনকি গর্ভপাতের আশঙ্কাও থাকে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, তিরিশের কোঠায় পৌঁছানোর পর থেকে মায়েদের প্রি-একলামসিয়া, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে থাকে। এমনকি বেশি বয়সের ডিম্বাণু থেকে জন্ম নেয়া শিশুর জিনগত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। এর ফলে অনেক সময় সন্তান বিকলাঙ্গ বা প্রতিবন্ধী হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২৫ বছর বয়সী মায়েদের ডাউন সিনড্রোম সন্তান হওয়ার ঝুঁকি থাকে প্রতি ২৫০০ জনের মধ্যে একজনের, যা ৪০ বছর বয়সী মায়েদের ক্ষেত্রে গিয়ে দাঁড়ায় প্রতি ১০০ জনে একজন। তবে এমনিয়টিক ফ্লুইড (গর্ভস্থ বাচ্চার চারদিকের পানি) নিয়ে পরীক্ষা করে গর্ভধারণের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ভ্রুণের জীনগত ত্রুটি শনাক্ত করা সম্ভব।

৪০ বছরের বেশি বয়স হলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে মাত্র ৫ শতাংশ। তাই ৩৫ বছরের পর বা বেশি বয়সে মা হওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া জরুরী। বর্তমান বিশ্বে উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থার কারণে অনেক কিছু জটিলতা এখন এড়ানো যায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।

 

টাইমস/এসজে

 

১৪ জুলাই ২০২১, ১২:৪৮পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।