মাটির নিচে বিলাসবহুল ১৫ তলা ভবন
পৃথিবী একদিন ধ্বংস হবে। হতে পারে মহামারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা যুদ্ধ। ফলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে সুন্দর পৃথিবী। তবে মানুষ বাঁচতে চায়, মানুষ নিরাপত্তা চায়। এই চিন্তা থেকেই মাটির নিচে ১৫ তলা বিশিষ্ট বাঙ্কার ভবন তৈরি করেছেন এক আমেরিকান ডেভেলপার। মিস্টার ল্যারি বলছেন, পৃথিবীতে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে মহামারি। আমার বাঙ্কার এপার্টমেন্টে মানুষ নিরাপদ থাকবে। এখানে সব রয়েছে।
কি আছে বাঙ্কার ভবনে
⇒ মাটির গভীরে ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনে রয়েছে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা
⇒ রয়েছে ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট সংযোগ
⇒ সতেজ শাক-সবজি ও প্রয়োজনীয় সব ধরনের খাদ্যপণ্য বাঙ্কার ভবনে পাওয়া যায়
⇒ এখানে আছে ৫০ হাজার গ্যালন পানির লবণাক্ত জলধারা বা সুইমিংপুল
⇒ এখানকার বাসিন্দাদের জন্য রয়েছে ব্যায়ামাগার, থিয়েটার ও কুকুর পোষার জায়গা
⇒ প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টে ১২টি শয়ন কক্ষ রয়েছে। আছে রান্না ঘর ও উন্নত বাথরুম
⇒ সম্পূর্ণ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত আন্ডারগ্রাউন্ড ভবনটির পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা
⇒ ভবনটির প্রতিটি রুম ও দরজা উন্নতমানের সেন্সর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
⇒ বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে নিজস্ব জেনারেটর ও জ্বালানি ব্যবস্থা রয়েছে
⇒ কিছুটা ব্যয় বহুল হলেও এই আন্ডারগ্রাউন্ড হাউজের জনপ্রিয়তা ধনকুবেরদের নজর কেড়েছে।
কীভাবে তৈরি হলো আন্ডারগ্রাউন্ড হাউজ
মিস্টার ল্যারি একজন ডেভেলপার। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন পৃথিবী একদিন ধ্বংস হবে। যুদ্ধ অথবা মহামারি ছড়িয়ে পড়তে পারে যেকোনো সময়। এই চিন্তা থেকে তিনি মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসার এক বিজ্ঞানীর সহায়তায় এই আন্ডারগ্রাউন্ড ভবন তৈরির পরিকল্পনা করেন।
প্রায় সাড়ে ৩ বছর ধরে ভবনটির নির্মাণ কাজ চলে।
ভবনটির আরও চমক
→ এর প্রধান দরজার ওজন ৮ টন
→ প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টের দাম ১.২ মিলিয়ন ডলার
→ একজন একটির বেশি এ্যাপার্টমেন্ট কিনতে পারবে না
→ আন্ডারগ্রাউন্ড ভবন হওয়ায় প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা পাওয়া অসম্ভব, এ জন্য রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির ডিসপ্লে
→ এখানে আছে লাইব্রেরি, থিয়েটার পার্ক
→ চিকিৎসার জন্য রয়েছে মিনি হাসপাতাল ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র।
সূত্র- সিএনএন