• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১

আভিজাত্যের BMW আন্দোলনে যেভাবে

আভিজাত্যের BMW আন্দোলনে যেভাবে

ফিচার ডেস্ক

‘বিএমডব্লিউ’। অভিজাত একটি ব্র্যান্ড। ৩ কোটি টাকার একটি গাড়িতে আপনি যে আরাম পাবেন, ২০ লাখ টাকার গাড়িতে আপনি সেই আরাম না পেলেও হতাশ হবেন না। তারপরও মানুষ কোটি টাকা ব্যয় করে বিএমডব্লিউ কেনে। কেন জানেন? কারণ, বিএমডব্লিউ শুধু একটি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি একটি অভিজাতদের পণ্যে পরিণত হয়েছে। যেমনটি হয়েছে- আইফোন, অ্যাপলের ল্যাপটপ কিংবা রোলেক্সের হাতঘড়ি।

‘মজা করার ছলে
কিংবা সত্য সঠিক বলে’- মানুষ কেমন যেন হুজুগেই বেশি মেতে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন নতুন এক ট্রেন্ড ‘বিএমডব্লিউ’। ৩০ টাকার স্যান্ডেল কিংবা ৫ টাকার পান মসলা, যে যা কিনছে সেটাতেই BMW ট্যাগ করছে। তবে সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে, কলকাতার চলমান আন্দোলন। এই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি BMW হ্যাশট্যাগ ছড়িয়েছে। যদিও আন্দোলনের বিএমডব্লিউ আর বাস্তবের বিএমডব্লিউ এক জিনিস নয়। একটি সামাজিক আন্দোলনের প্রতীক, আরেকটি আভিজাত্যের। চলুন, অভিজাত বিএমডব্লিউ নিয়ে কিছু জেনে নেয়া যাক-

বিএমডব্লিউ সম্পর্কে দশটি অজানা তথ্য

প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস

১৯১৬ সালে জার্মানির মিউনিখে বিএমডব্লিউ প্রতিষ্ঠিত হয়। BMW এর পূর্ণরূপ Bayerische Motoren Werke AG। প্রাথমিকভাবে বিমানের ইঞ্জিন তৈরি করেছিল কোম্পানিটি। পরে ১৯২০ এর দশকে মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু করে বিএমডব্লিউ। এবং শেষ পর্যন্ত ১৯৩০ এর দশকে অটোমোবাইল বা ব্যক্তিগত কার-প্রাইভেট গাড়ি প্রস্তুত শুরু করে কোম্পানিটি।

বিএমডব্লিউ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির মিনি নামে আরও একটি ব্র্যান্ড রয়েছে। এছাড়াও বিশ্বখ্যাত রোলস-রয়েস মোটর গাড়িও বিএমডব্লিউ-এর অধীন একটি প্রতিষ্ঠান। বিএমডব্লিউ মানসম্পন্ন ও বিলাসবহুল গাড়ি, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল নির্মাণের জন্য সুপরিচিত।

BMW  কেন এত জনপ্রিয়

আইকনিক লোগো: BMW এর লোগো বেশ কিছু অর্থ বহন করে। একটি "বৃত্তাকার" কালো রিং রয়েছে। এই রিং বা বৃত্তের ভেতরে নীল এবং সাদা চারটি চতুর্ভুজ দিয়ে ছেদ করে। এই লোগো দিয়ে কোম্পানিটি তাদের বিমান প্রস্তুত করার অতীতকে স্মরণ করেছে। লোগোতে থাকা নীল ও সাদা রং মূলত পরিষ্কার নীল আকাশ ও একটি ঘূর্ণায়মান প্রপেলারের প্রতীক।

উদ্ভাবন

প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের জন্য BMW বিখ্যাত। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছরই প্রযুক্তির সঙ্গে নিজের উদ্ভাবনী শক্তির দারুণ মেলবন্ধন ঘটিয়েছে কোম্পানিটি। এমনকি ২০১৩ সালে বিশ্বের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনে বিএমডব্লিউ। যার মডেল BMW  i3। এছাড়া উন্নত ড্রাইভিং সহায়তা সিস্টেম (ADAS) এবং হাইব্রিড পাওয়ার ট্রেন তৈরিতে কাজ করছে BMW ।

মোটরস্পোর্ট ও BMW

রেসিং বা মোটর স্পোর্টে BMW  এর একটি বৈশ্বিক ঐতিহ্য রয়েছে। বিশেষ করে ট্যুরিং কার এবং ফরমুলা ১ রেসিংয়ে BMW  বরাবর সেরা। শুধু মাত্র রেসিংয়ের জন্য বিশেষ ধরনের মোটরযান তৈরি করে থাকে BMW । একই ভাবে তারা মোটর সাইকেল ও বাইসাইকেল বাজারজাত করে থাকে। এই তিনটি প্রোডাক্টের বাইরে বিএমডব্লিউ এর অন্যান্য কোনো প্রোডাক্ট নেই।

প্রযুক্তিতে BMW

বিএমডব্লিউ মানেই বিলাসবহুল ব্যাপার। সেই সাথে রয়েছে স্বতন্ত্র ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের চমক। তবে BMW  সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে। সেই সাথে অত্যন্ত আরামদায়ক অবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে BMW  বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন সহ বিশ্বব্যাপী বেশ কয়েকটি দেশে তাদের পণ্য উৎপাদন করে থাকে।

কেন এই ট্রেন্ডিং

টেকসই, মানসম্পন্ন ও প্রযুক্তিগত উন্নত বৈশ্বিক পণ্যের তালিকায় নিঃসন্দেহে শীর্ষে রয়েছে বিএমডব্লিউ। আর এই বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতার কারণেই মানুষ তার আস্থা, বিশ্বস্ততা ও উৎকর্ষতার প্রতীক হিসেবে ট্রেন্ডিংয়ে BMW কে বেছে নিয়েছে।

কিন্তু কলকাতার আন্দোলনে ঘুষ, টাকা আর নারীকে উদ্দেশ্যকে করে সংক্ষেপে বিএমডব্লিউ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে।

০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪২পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।